যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চিঠিতে তিন মাসের জন্য শুল্ক স্থগিতের অনুরোধ করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। সে অনুরোধ রাখায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাতে ট্রাম্প চীন বাদে অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পালটা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এর কিছু সময় পরই এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা। পোস্টে দেওয়া বার্তায় ড. ইউনূস বলেছেন, ‘ধন্যবাদ, মি. প্রেসিডেন্ট। ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করার আমাদের অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার জন্য। আমরা আপনার বাণিজ্যনীতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আপনার প্রশাসনের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’
গত সোমবার (৭ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে সময় দেওয়া হোক, যাতে আমদানি বাড়িয়ে ও শুল্ক কাঠামো সংস্কার করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
চিঠির শেষাংশে ড. ইউনূস তিনি অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যে আরোপিত পালটা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, আপনি আমাদের এই অনুরোধ গ্রহণ করবেন।
এদিকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন, আমরা বিশ্বের সমস্ত দেশকে জানিয়েছিলাম—পালটা ব্যবস্থা না নিলে তোমরা পুরস্কৃত হবে। সুতরাং, যারা আলোচনায় আসতে চায়, আমরা তাদের কথা শুনতে প্রস্তুত।
বেসেন্ট বলেন, এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দেয় যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাণিজ্যকে গুরুত্ব দেন এবং আমরা সৎভাবে আলোচনা করতে চাই।
অন্যসব দেশের ওপর পালটা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেও চীনের ওপর উলটো বাড়তি শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পালটা শুল্ক আরোপ করায় চীনা পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ঊষার আলো-এসএ