পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে জনগণের আস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। কমিশনকে বেঁধে দেয়া তিন মাস সময়সীমার মধ্যে সব পর্যায়ের মানুষের মতামত নেয়া হবে। প্রয়োজনে ওয়েবসাইট তৈরি করে সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হবে।’
বাংলাদেশ পুলিশের দেড়শ’ বছরের পুরনো আইন সংস্কারসহ এটিকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা করা দরকার সেসব নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশ জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন।
রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সফর রাজ হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে জনগণের আস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বেঁধে দেয়া সময় তিন মাসের মধ্যে সব পর্যায়ের মানুষের মতামত নেয়া হবে। প্রয়োজনে ওয়েবসাইট তৈরি করে সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হবে।’
এ সময় সেখানে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কমিশনকে কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে। তিন মাস পর সুপারিশ পেলেই শুরু হবে পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠন ও সংস্কারের কাজ।’
এর আগে গত ৩ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির গেজেট প্রকাশ করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ মো. গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা এবং মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান। এছাড়া কমিশনে আরও থাকবেন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।