UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত

ঊষার আলো ডেস্ক
নভেম্বর ৬, ২০২৪ ৮:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা কলেজের অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে সাত কলেজ বিশ্বিবদ্যালয় রূপান্তর টিমের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে টিমের ফোকাল পার্সন নাঈম হাওলাদার বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। তবে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত মানে এই নয় যে আমরা আন্দোলন থেকে একেবারে সরে এসেছি। উপদেষ্টা আমাদের থেকে সময় চেয়েছেন।

তার সম্মানে এবং দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে উপদেষ্টার আশ্বাসের পরও যদি আমরা কোনো কার্যকরী সমাধান না পাই বা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যদি নতুন কোনো ধরনের ভিন্ন কোনো প্রহসন শুরু হয়, তাহলে আমরা আবার রাজপথে নেমে আসবো। রাজপথেই তখন উদ্ভূত পরিস্থিতির ফয়সালা হবে।

তিনি বলেন, আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আমাদের সংকট ও সমস্যার চিত্র তুলে ধরেছি। সমস্যা সমাধানে আমরা ঢাবি অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই। এরপর একই দাবি জানিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ মহোদয়কে স্মারকলিপি দিয়েছি।

একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়েছে। এরপর আমরা ধারাবাহিকভাবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি। সর্বশেষ আমরা চলতি সপ্তাহে দাবি আদায়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি। দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে আমাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা শুরু করেছেন।

এই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আন্দোলন যেভাবে চলমান ছিল, একইভাবে সংশ্লিষ্ট সব মহলে আমরা আলোচনাও অব্যাহত রেখেছি। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রথমবারের মতো গত ২৫ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে আমাদের আন্দোলনের ন্যায্যতা সম্পর্কে তাদের সামনে তুলে ধরি। তারা আমাদের সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা অনুধাবন করে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও আমরা ধারাবাহিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখি। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের দাবি ও আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরি। সর্বমহলে আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে সমর্থন পেয়েছি।