ঊষার আলো ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার লাঙলঝাড়া গ্রামে একই কক্ষ হতে মায়ের ঝুলন্ত লাশ ও তার দুই শিশু সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ (১ এপ্রিল) সকালের দিকে কোন এক সময়ে এই ঘটনা ঘটে। বেলা ১২টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাড়ির লোকজনদের সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবির জানিয়েছেন, মৃত গৃহবধূর নাম মাহফুজা খাতুন। তার মৃত দু’শিশু ছেলে মাহফুজ (৯) এবং মেয়ে মোহনা (৬)। মা মাহফুজা খাতুন গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তার আগে তিনি তার দু’সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে ধারনা করছে পুলিশ। এই ঘটনার পর উৎসুক গ্রামবাসী সেই বাড়িতে ভিড় করছে। মৃতদেহ তিনটি উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
গৃহবধূর শশুর আব্দার আলী বলেন, ৩ দিন আগে খেলা করার সময় স্থানীয় লাল্টুর ছেলে হৃদয় (১৪) শিশু মেয়ে মোহনাকে যৌন নির্যাতন করে। মোহনা বিষয়টি বাড়ি এসে মাকে জানালে মাহফুজা স্থানীয় ইউপি সদস্য সাফিজুল এবং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে জানান। তবে মেম্বর সাফিজুল এবং চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে গড়িমসি করতে থাকেন। সামনে ইউপি নির্বাচনের দোহাই দিয়ে সময়ক্ষেপণ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিশুটির মা মাহফুজা খাতুন। তার এক পর্যায়ে মেম্বর সাফিজুল সামনে নির্বাচন উল্লেখ করে কয়েকদিন পরে বিচারের আশ্বাস দেন এবং চেয়ারম্যান তাকে মামলার পরামর্শ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
পরে মাহফুজার শশুর মামলা করার জন্য বলেন। তখন গৃহবধূ মাহফুজা বলেন, আমরা গরীব মানুষ মামলার খরচ কিভাবে চালাবো। বৃহস্পতিবার সকাল বেলা মাহফুজা তার দুই সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
(ঊষার আলো-এফএসপি)