ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর দৌলতপুর থানাধীন পাবলা বণিকপাড়ায় গত ২৮ জানুয়ারী সরঃ বীনাপানি প্রাইমারী স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা হত্যার ৩৬ দিন অতিবাহিত হলেও আসামী প্রীতম রুদ্রের বিরুদ্ধে এখানো চার্জশীট দাখিল হয়নি। দ্রুত চার্জশীট গঠন না হওয়াই অনেকেই মামলা অগ্রগতি নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।
তবে পুলিশের বক্তব্য, ভিকটিমের ময়না তদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের রির্পোট হাতে না এসে পৌচ্ছালে চার্জশীট গঠন করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুর সোয়া দুইটার দিকে বিজ্ঞ মেট্রো পলিটন ম্যাজিস্টেট সরোয়ার আহম্মেদের আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে আসামী প্রীতম রুদ্র নিজ মুখে অঙ্কিতাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে।
অঙ্কিতার লাশ উদ্ধারের পর হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত এ ঘটনার সুস্থ্য বিচারের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন সামাজিক আন্দোলন অব্যহত রেখেছে। সকলের একটাই প্রশ্ন দরিদ্র পিতা সুশান্ত যেন তার মেয়ের হত্যার সুষ্ঠ বিচারের লক্ষ্য দ্রুত সময়ের মধ্যে চার্জশীট গঠন করে আসামীকে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি কার্যকর করা। তবে অঙ্কিতা হত্যার ছত্রিশ দিন গত হয়ে গেলেও এ পর্যন্ত আসামী প্রীতম রুদ্রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করতে পারেনি দৌলতপুর থানা পুলিশ।
বণিকপাড়া সোসাইটির আহবায়ক ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পুলু মুন্সি বলেন, গত ৮ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে আমার সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তার কথা হয়েছে। কর্মকর্তা জানান, তিনি হয়তোবা ৯ মার্চ দুপুর নাগাদ রির্পোট হাতে পাবেন রির্পোট হাতে জোরালো ভাবে আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হবে।
তিনি আরও জানান, যেহেতু এ মামলাটি একটি আলোচিত মামলা তাই তদন্তের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয় বস্তুকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। এবং এই মামলার আসামীকে কঠিন চার্জ গঠন করে সর্বোচ্চ ফাঁসির কাষ্টে উঠানো হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ হেলাল মুন্সি বলেন, আলোচিত এ হত্যা মামলার বেশ কয়েকদিন গত হয়ে গেলেও আসামী প্রীতম রুদ্রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়নি। তবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়াই চার্জ না গঠন করায় এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন অনেকটাই হতাশগ্রস্ত। তারা ইতিমধ্যে মনে করতে শুরু করেছে মামলাটি অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। সকলে প্রশ্ন বিদ্ধ, ফরেনসিক রির্পোট আসতে কতদিন লাগে বা ময়না তদন্ত রির্পোট হাতে পেতে কত সময় লাগে?
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ দৌলতপুর থানা সাধারণ সম্পাদক বলোরাম দত্ত বলেন, অঙ্গিতা হত্যার দীর্ঘ ৩৬ দিনগত হয়ে গেল। এলাকাবাসী প্রশ্ন আজও কেন অঙ্গিতা হত্যার চার্জশীট দেওয়া হলো না। এর পেছনে কি কোন অদৃশ্য শক্তি বা ছায়া কাজ করছে। যা আমাদের বোধগম্য নয়। সকল সংগঠনের পক্ষ হতে বলতে চাই যে, এ হত্যাযজ্ঞকে অন্য কোনখাতে প্রবাহিত করতে দেয়া হবে না বলে জানান এ নেতা।
পাবলা বনিকপাড়া বাসিন্দা মিজানুর রহমান স্বাধীন মোড়ল বলেন, অঙ্কিতা ধর্ষণ ও হত্যা আমাদের জন্য একটি ঘৃনিত কলংঙ্কিত অধ্যায়। আমি দ্রুতই হত্যার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশীট গঠন করে আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান জানান, আমি এ মামলার তদন্তকারী অফিসার, আমি নিষ্ঠার সাথে আলোচিত মামলার চার্জশীট দাখিল করতে চাই যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
মামলা চার্জশীট দাখিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, চলতি মাসের মধ্যেই এ মামলা চার্জশীট দাখিল করা হবে। আসামী প্রীতম রুদ্রকে চার্জশীট গঠনের মাধ্যমে ফাঁসির দাঁড় করাবো বলে জানান।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, নাগরিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীর দাবি কোন অবস্থাতেই যেন এই ঘৃনিত আসামী আইনের ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে এমনিই দাবি সকলের।