ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোনে টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে হাজি, হজযাত্রী ও এজেন্সি মালিকদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক করেছে সরকার।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংশ্লিষ্ট একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি রোববার জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে এক শ্রেণির প্রতারকচক্র টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়ে হজযাত্রী, হাজি, হজ এজেন্সির মালিক বা প্রতিনিধি ও হজ গাইডদের ফোন করে তাদের ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ও নগদ ইত্যাদির তথ্য চাচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হাজি, হজ এজেন্সি ও হজ গাইডদের অর্থ ফেরত (রিফান্ড) সরাসরি ব্যাংক হিসাবে BEFTN বা চেকের মাধ্যমে পাঠানো হয়।’
‘এ জন্য কোনো ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ও নগদের তথ্য চাওয়া হয় না। গত ৯ অক্টোবর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘এমতাবস্থায়, প্রতারকচক্র ফোন করে টাকা ফেরতের কথা বলে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ও নগদের তথ্য চাইলে তা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ধরনের ফোন আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।’
এর আগে জনৈক মিজানুর রহমানের প্রতারণার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মিজানুর রহমান নিজেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পরিচয় দিয়ে ০১৩০৪-১৬০২৮০ মোবাইল নম্বর থেকে সাধারণ হজযাত্রী কিংবা যারা ইতোপূর্বে হজে গিয়েছেন, তাদের ফোন করে রিফান্ড হিসেবে অর্থ ফেরত দেয়ার কথা জানান। সেই অর্থ ফেরত দেয়ার কথা বলে সাধারণ হাজিদের কাছ থেকে ব্যাংক একাউন্ট, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ ও বিকাশ) তথ্য জানার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে বিভিন্ন হজযাত্রী, হাজিদের নিকট হতে অভিযোগ পাওয়ার পর ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, এ নামে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের নেই এবং মোবাইল নম্বরটি (০১৩০৪- ১৬০২৮০) এ মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘হজ শেষে যদি কোনো টাকা হাজি সাহেবদের ফেরত দেয়া হয়, তাহলে সেটা মন্ত্রণালয় যথাযথভাবে হাজি ও হজ এজেন্সির মাধ্যমে পরিশোধ করে। এ ছাড়া বেসরকারি মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন বাতিল করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি টাকা ফেরত পান। সেটাও দেয়া হয় চেকের মাধ্যমে।’