ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান যখন পাল্টা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে তখন, দুদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ভারত চাচ্ছে এই অবস্থার উন্নতি, তারা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উত্তেজনা না বাড়ার আশা করছে।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) লে. জেনারেল আসিম মালিক জানিয়েছেন, ভারতের এনএসএ প্রধান অজিত দোভাল দুদেশের মাঝে চলা উত্তেজনা কমাতে চাচ্ছে। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা আলোচনায় আছেন।’
ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা আলোচনায় আছেন।’
তবে তিনি আলোচনার বিষয়বস্তু কিংবা দুদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার মাঝে কী নিয়ে কথা হচ্ছে, তাও বলেননি।
পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যোগাযোগের বিষয়টি এই উত্তেজনার মুহুর্তে খুব জরুরি। ধারণা করা হচ্ছে, দুদেশের উপদেষ্টাদের মাঝে এই যোগাযোগ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কৌশলী এবং ব্যাকডোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে সম্ভব হয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) যদিও বলেছে, ইসলামাবাদ নিজের ইচ্ছামতো সময়, স্থান ও পদ্ধতি বেছে নিয়ে ভারতের হামলার জবাব দেবে। তারপরও জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বক্তব্যের মধ্যে আরও পাল্টা জবাব না দেওয়ার ইঙ্গিতই বেশি ছিল।
সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় একটি দেশ পাকিস্তানকে ভারতের আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপারে আগাম সতর্ক করেছিল। একই সূত্রে জানা গেছে, ভারতও গোপনে পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছে—তাদের আর উত্তেজনা বাড়ানোর ইচ্ছা নেই। ভারতের এনএস দোভাল অন্যান্য কয়েকটি দেশের এনএসকে আশ্বস্ত বলেছেন, ভারতের উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।
ঊষার আলো-এসএ