বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা রয়েছে। এই ক্যারিশম্যাটিক নেতা আগেই বুঝেছিলেন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা ছাড়বে না। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে জাতির মুক্তির যুদ্ধ আসন্ন এবং সে যুদ্ধে তিনি উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। তাকে আবারও গ্রেফতার করা হতে পারে। মনে হয় সে কারণেই তিনি স্পষ্ট বলেছেন, আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকজনকে হত্যা করা হয়, আমার অনুরোধ রইলো তোমাদের কাছে। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে শত্রুর সাথে লড়াই করতে হবে, আমি যদি হুকুম দিবার না পারি, তোমরা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে… জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা জুগিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৭ই মার্চ) সকালে মোংলা আ’লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ বেগম হাবিবুন নাহার এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ৭ই মার্চের এ ভাষন এখনও নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে। এটি আগামী যুগে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তাই নতুন প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা মনে করাটাই স্বাভাবিক। কারণ একটি ভাষণে তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন।
এর আগে পৌর আ’লীগ কার্যালয় থেকে র্যালী বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এমপি বেগম হাবিবুন নাহার পৌর শিশু পার্ক চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ম্যুড়ালে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে পুস্পস্তাবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন, পৌর আ’লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইস্রাফিল হাওলাদার, মহিলা আ’লীগ নেত্রী সরবরিয়া খানম দরিয়া সহ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।