UsharAlo logo
বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ, খুলনা আইনজীবি সমিতির সাবেক সেক্রেটারির জামিন না মঞ্জুর

ঊষার আলো প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

৭৩ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট কেএম ইকবাল হোসেনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ( ২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক শরীফ হাসান হায়দার তার জামিন না করে জেল হাজতে প্রেরণে নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে সমিতির সদস্য সচিব ও মামলার বাদী অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা আজ দুপুরে বলেন, সমিতির টাকা আত্মসাতের মামলায় আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কে এম ইকবাল হোসেন আজ ( মঙ্গলবার) আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করেন। তিনি বলেন, এর আগে এ মামলার জামিনের জন্য তিনি উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে ৬ সপ্তাহের আদেশ জারি করে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেওয়ার কথা জানানো হয়।

এর আগে গত ২৮ আগষ্ট সমিতির সদস্য সচিব নুরুল হাসান রুবা বাদী হয়ে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ৭৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আইনজীবী সমিতির সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক তারিক মাহমুদ তারা ও কে এম ইকবাল হোসেন, সাবেক সভাপতি কাজী বাদশা মিয়া ও সাইফুলের ক্যাশিয়ার ইসতিয়াক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আইনজীবীদের জন্য ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর বিশেষ কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়। সেই টাকা দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়ী স্কিম করে টাকা জমা দেওয়া শুরু হয়। সাড়ে ৩ বছরে সেখানে ৩ কোটি ৮০ লাখ ২৬ হাজার ৫১২ টাকা জমা হয়। সেই ব্যাংক হিসাব ভেঙে ফেলে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন আসামিরা। এরপর ২ কোটি ৪০ হাজার ৪৪০ টাকা আইনজীবীদের মাঝে বণ্টন করেন এবং এক কোটি টাকার একটি এফডিআর করেন। বাকি ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬০ টাকা তারা আত্মসাৎ করেছেন। আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় ১৩ আগস্ট এ বিষয়ে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়।

খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০২০ সাল থেকেই আইনজীবী সমিতি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। আর্থিক দুর্নীতিসহ অ্যাডভোকেটদের ওপর নির্যাতনেরও অভিযোগের পাহাড় রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ঊ/আ-এইচআর