নায়ক হয়ে উঠেছিলেন ডেনিস ল। মাঝ মাঠে দাপিয়ে বেড়াতেন, ক্ষীপ্রতার সঙ্গে ঢুকে যেতেন প্রতিপক্ষের বক্সে, কখনও জোরাল শটে কাঁপাতেন জাল— সব মিলিয়ে স্কটল্যান্ডের সেন্টার ফরোয়ার্ড পরিচিতি পেলেন ‘দ্য কিং’ হিসেবে। ম্যানচেস্টার ইউনাইডেটের ভক্তরা তাকে আদর করে ডাকতেন ‘হোলি ট্রিনিটি’ নামে। সেই কিংবদন্তি কিং বিদায় নিয়েছেন। ৮৪ বছর বয়সে থেমেছেন ডেনিস।
ফুটবল ইতিহসে ডেনিস ল স্কটল্যান্ডের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ব্যালন ডি’অর এবং ইউরোপিয়ান প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার জিতেছিলেন। ১৯৬৪ সালে এই দুই পুরস্কার জিতেছিলেন এই কিংবদন্তি। শুক্রবার রাতে ল-এর পরিবার জানায়, ‘ডেনিস ল আর নেই। তিনি দীর্ঘদিন কঠিন লড়াই চালিয়েছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত শান্তিতে বিদায় নিয়েছেন। যারা সবসময় তার যত্ন নিয়েছেন, বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে, তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।’
ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি সময় ইংলিশ ক্লাব ম্যানইউতেই কাটিয়েছে ডেনিস ল। ক্লাবের হয়ে ১৯৬৫ এবং ১৯৬৭ সালে প্রিমিয়ার লিগ এবং ১৯৬৮ সালে ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিলেন। ইউনাইটেডের হয়ে ১১ মৌসুমে ৪০৪টি ম্যাচে ২৩৭ গোল করেছিলেন। ক্লাবের ইতিহাসে যা এখনও তৃতীয় সর্বোচ্চ গোল। ল’য়ের চেয়ে বেশি গোল করেছেন কেবল ওয়েন রুনি এবং স্যার ববি চার্লটন। চার্লটন এবং জর্জ বেস্টের সঙ্গে জুটি বেঁধে ল গড়ে তুলেছিলেন ফুটবলের অন্যতম সেরা আক্রমণত্রয়ী। নাম পেয়েছিলেন হোলি ট্রিনিটি।
ডেনিসের বিদায়ে শোকবার্তা জানিয়েছে তার সাবেক ক্লাব ম্যানইউ । উয়েফা, ম্যানসিটি সহ একাধিক শীর্ষ ক্লাব জানিয়েছে শোক। স্কটিশ কিংবদন্তি ডেনিস ল তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন হাডার্সফিল্ড টাউনে। চারটি ক্লাব ঘুরে ১৯৭৩ সালে ম্যানসিটিতে এসেছিলেন ল। পরের বছরই পাড়ি দেন স্টেক নামের ক্লাবে। ওখানেই শেষ বলে দেন। স্কটিশদের হয়ে তিনি খেলেছেন ৫৪ ম্যাচ, জালের দেখা পেয়েছেন ৩১ বার। ২০২১ সালে ডেনিস ল জানিয়েছিলেন, তিনি আলজাইমার্স এবং ভাসকুলার ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেই নিয়েই দীর্ঘদিন লড়াই চালালেও এবার আর পারলেন না কিংবদন্তি ডেনিস। অবশেষে মারা গেলেন ডেনিস ল।