ঊষার আলো ডেস্ক : অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষ ছিলেন প্রাণবিক। কারণ সবকিছুর মধ্যে তিনি প্রাণ খুঁজে পেতেন। তা আবার ছড়িয়ে দিতেন মানুষের মাঝে। তার কর্ম বৃক্ষরাজির মত ছড়িয়ে রেখে গেছেন। তিনি ন্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে লেখক। তিনি ছিলেন গবেষক, তাঁর দেহে বার্ধক্য এলেও শেষদিন পর্যন্ত তাঁর মুখে বার্ধক্য আসেনি । বিশেষ করে মঞ্চে। তার নশ^র দেহটা পুড়িয়ে ছাঁই করে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাঁর কর্মের মৃত্যু হয়নি। তিনি ছোটবেলা থেকেই বন্ধুবন্ধবদের নিয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি মুক্তচিন্তা করতেন। তিনি ছিলেন সুবক্তা। সাংবাদিক আবেদ খান ও তার বক্তৃতা শুনে প্রশংশা করেছেন। নিরবে দান করতেন কেই যেন না যানে সিদিকে তিনি খেয়াল করতেন। শেষ জিবনে শিশুদের নিয়ে ভাবনার জগত গড়ে তুলেছিলেন। তাকে নিয়ে একটি বড় ধরনের সংকলন প্রকাশ হওয়া উচিত।
নাগরিক শোক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বরেণ্য শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, চিন্তাবিদ, স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের লেখক, অরোতীর্থ বিদ্যাপিঠের পরিচালক অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষের স্মরণে দুটি শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শোকসভা প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক ও সমাজসেবক মাসুদ মাহমুদ। সভা পরিচালনা করেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও একুশে টেলিভিশনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুজিবর রহমান, দৈনিক জন্মভূমির প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক মনিরুল হুদা, ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিক উজ জামান, অধ্যাপক সুশান্ত সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহানগর কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর প্রশাসন ও অর্থ কমিটির স্থায়ী সদস্য অধ্যাপক রুনু কবির, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর মনিরুল ইসলাম রিপন, প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্ঠা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু, অসিতবরণ ঘোষের একমাত্র মেয়ে অনিন্দিতা ঘোষ লোপা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সনজীব কুমার ঘোষ, দুখু বাঙাল, অধ্যাপক বিভূতি মন্ডল ,বালাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুন্ডু. অধ্যাপক দেবদুলাল বসু, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড মফিদুল ইসলাম, শ্রী অরবিন্দ সোসাইটি খুলনার সম্পাদক প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়াল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম বাবলু, ভার্গব বন্দ্যোপাধ্যায়,নূরুন নাহার হীরা , সৈয়দ আলী হাকিম, জেসমিন জামান, বরুণা বন্দ্যোপাধ্যা, অশোক চক্রবর্ত্তী, শিবনাথ সাহা, রতন কুমার নাথ, দিলীপ দেবনাথ,ড. অনুপম কুমার বৈরাগী, উত্তরা সরকার .মৃদুলা বিশ^াস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চিন্তা মননে তিনি বিশ^াস করতেন এই শিশুদের গড়তে পারলে একদিন তারাই পারবে সোনার বাংলাদেশ গড়তে। অভিভাবকদের উদেশ্যে তিনি বলতেন শিশুদের কিছু শিক্ষাতে হলে আগে নিজেকেই সেই বিষয়টি শিখে নিতে হবে। শিশুদের মধ্যে রয়েছে সম্ভাবনাময়। তাদের যেভাবে চেনানো হবে তেমনি সে পৃথিবীকে চিনবে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করে যেতে হবে।
সভায় বক্তারা ২০ নভেম্বর বিকাল রূপসা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শোকসভায় অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষের ছাত্র,শুভ্যানুধায়ীদের উপস্থিত হওয়ার আহবান জানান।