ঊষার আলো প্রতিবেদক : উপকূলীয় এলাকায় পরিবেশ, প্রতিবেশ ও নদীর গতিপথ ঠিক রেখে স্থানীয় জনগণের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দ্রুত বাঁধ সংস্কার ও নির্মাণসহ ৫ দফা দাবি তুলেছে উপকুলীয় পানি সম্মেলন কমিটি। তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রযেছে বিপদাপন্ন পরিবারগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানসহ সকল প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ, ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে উপকুলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নেয়া, উপকুলীয় এলাকায় দূর্যোগ সহনীয় পুকুরসহ খাসজমিতে ভূ-উপরিস্থ পানির আধার তৈরি এবং সমন্বিত উপকুলীয় এলাকা ব্যবস্থাপনা পলিসি (আইসিজেডএমপি) জমি ব্যবহার (ল্যান্ড জোনিং) নীতি ও আইন প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নের দাবি তুলে ধরা হয়।
বুধবার সকালে খুলনা সিটি করপোরেশনের শহীদ আলতাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির নেতারা এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কমিটির চেয়ারপারসন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সদস্য সচিব অ্যাওসেডের নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফীন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনার ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর দিলীপ কুমার দত্ত, পানি সম্মেলন কমিটির কো-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকন, এবিএম শফিকুল ইসলাম, রেহেনা আক্তার, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, হুমায়ূন কবির ববি প্রমুখ।
কমিটির নেতারা বলেছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’র প্রভাবে বাংলাদেশের উপকুলীয় ১৪ টি জেলার ২৭টি উপজেলা অতি জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানের বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ঘরবাড়ি, ভেসে গেছে চিংড়ি ও মাছের ঘের ডুবে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও লোনা পানির হাত থেকে এই এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ষাটের দশকে উপকূলীয় বাঁধ নির্মিত হয়েছিল। বছরের পর বছর বাঁধগুলির সংস্কার না করা, স্লুইস গেটগুলি যথাযথ ব্যবহার না করায় ফলে গেটগুলি মুখে পলি ভরাটে নষ্ট হয়ে গেছে। বাঁধ কেটে কৃষিজমিতে লোনা পানির চিংড়ি চাষের ফলে বাঁধগুলি অত্যান্ত দূর্বল হয়ে পড়েছে। যে সকল এলাকার বাঁধ কেটে লোনা পানি প্রবেশ করানো হয়েছে সেই সকল এলাকার বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ১৫ জুন ২০২১ (১ আষাঢ় ১৪২৮) বর্ষা দিবস পালন ও একই সময়ের মধ্যে উপকূলের ১৯ জেলায় পানি সংকট তুলে ধরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি দেয়া হয়।