ঊষার আলো প্রতিবেদক : তীব্র তাপপ্রবাহ, কাঠফাটা রোদ আর অসহনীয় গরমে ঘরে বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি মিলছে না। তীব্র অগ্নিদহনে নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সর্বস্থানে একটি আলোচনার ঝড় কি গরম, কি গরম। সকলেই যেন তীব্র গরমের যন্ত্রণায় ছটফট করছে। স্বস্তি মিলছে না কোথাও দিনে বা রাতে। সারাদিনের গরমের জ্বালা তো গেল, সন্ধ্যার পর তার সাথে শুরু হয়েছে অসহ্য যন্ত্রণা আর তা হলো মশার কামড়। সকাল নেই, সন্ধ্যা নেই, রাত নেই বিরতীহীনভাবে কামড়ে চলছে মশা। মশার কামড়ে অনেকটাই চোখে মুখে শষ্যের ফুল দেখছে নগরবাসী। এমন কোন স্থান নেই যেখানে মানুষ একটু স্বস্তিতে দাঁড়াতে বা বসতে পারে যায়। আর রাতে তো মশারী ছাড়া ঘুমানো দায় হয়ে পড়েছে রক্ষা মিলছে না মশার কয়েল জ্বালিয়েও। ফলে মশার কামড়ে পাগল প্রায় মানুষ নগরীর সর্বস্তরের মানুষেরা।
সরেজমিনে, নগরীর ৩২ ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার বসবাসরত বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা গরম শরীরে কিছুটা মানিয়ে নেয়া গেলেও বাঁচা দায় হয়ে পড়েছে মশার উৎপাত বা কামড়ে।
দিনের বেলায় কিছুটা উৎপাত কম থাকলেও সন্ধ্যার পর শুরু হয় প্রচন্ড তান্ডব। কামড়াতে কামড়াতে পা ফুঁলিয়ে ফেলে। নগরীর অধিকাংশ এলাকায় ছোট-বড় নর্দমা, অধিকাংশ এলাকায় অপরিচ্ছন্ন ড্রেন, অসংখ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোটছোট খানাখন্দ, ময়লার স্তুপ, ঝোপঝাড়, রাস্তার পাশে থাকা ডাস্টবিন, ছোটবড় ময়লার স্তুপ, পরিত্যাক্ত পলিথিনসহ বিবিধ স্থানে লার্ভা বা বংশবিস্তার ঘটছে, জন্ম নিচ্ছে মশা বলে এলাকাবাসীর অভিমত।
টুটপাড়া পশ্চিম খাল পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ জানান, গরমে সমগ্র এলাকায় প্রচুর মশা বেড়েছে। মশা শুধু রাতে না, দিনেও মশার কামড়ায়। কেবল রাতে নয় দিনেও মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখলেও কাজ হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ওয়ার্ডে মশা নিধনে নিয়মিত কার্যক্রম চলছে। মশা নিধনে প্রতিনিয়তই কর্মীরা ঔষুধ, কালো তেল আর ফগারের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় স্প্রে করছে।
এ ব্যাপারে কেসিসি প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, মশক নিধনে কেসিসির কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে হয়েছে। মশা নিধনে প্রতিটি ওয়ার্ডে লার্ভিসাইট, অ্যাডাল্টি সাইট ও কালো তেল দেয়া হচ্ছে। তবে যেহেতু গরমের কারণে মশার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৩ মে হতে কালো তেল বাড়ানো হবে জানান কর্মকর্তা।
তবে বিভিন্ন এলাকার একাধীক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন যে পরিমানে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে যে তুলনায় ওয়ার্ডের মশা নিধনের প্রশংসা কুড়ানোর মতো কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে না। মশা নিধনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে দৌলতপুরে সর্বমহল।
(ঊষার আলো-এমএনএস)