এবার দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের এসি কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন খুলনার খালিশপুরের মিঠুন দত্ত। পেলেন ১০ লাখ টাকা। ওয়ালটন এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ায় আনন্দের জোয়ারে ভাসছে মিঠুন দত্তের পরিবার। মিঠুন দত্ত খালিশপুরের দুর্বার সংঘ ক্লাব এলাকায় বসবাস করেন। খালিশপুর এলাকায় মাম্পি জুয়েলার্স নামক একটি জুয়েলারি দোকান রয়েছে তার।
শনিবার (২৬ এপ্রিল, ২০২৫) বিকেলে খালিশপুর চিত্রালী শ্রমিক ময়দানে আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে মিঠুন দত্তের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে ‘দেশজুড়ে তোলপাড়, ওয়ালটন পণ্য কিনে হতে পারেন আবারো মিলিয়নিয়ার’ স্লোগানে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২। এর আওতায় চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। এছাড়া রয়েছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় মিঠুন দত্ত গত ১৬ এপ্রিল ওয়ালটনের খালিশপুর প্লাজা থেকে দুই টনের ওয়ালটনের এসিসি ব্রান্ডের একটি এসি ৯৫ হাজার ৯৯০ টাকায় কিস্তিতে ক্রয় করেন। ১২ মাসের কিস্তি অনুযায়ী তিনি প্রতি কিস্তি ৬ হাজার ১৪ টাকা হিসেবে মাত্র ২৬ হাজার ৭০০ টাকা ডাউন পেমেন্ট করেন। এসি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ক্রয়কৃত এসির মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর দু’ দিন পর ১৯ এপ্রিল তার মোবাইলে ওয়ালটন থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার একটি মেসেজ যায়। তাতেই ১০ লাখ টাকা পুরস্কারের বিষয়টি জানতে পারেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মিঠুন দত্ত অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ম্যাসেজ পেয়ে প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে ওয়ালটন থেকে তাকে ফোন করে জানালে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে স্ত্রী- সন্তান নিয়ে ওয়ালটনের খালিশপুর প্লাজায় গিয়ে আরও নিশ্চিত হন।
তিনি বলেন, “ওয়ালটন এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো এটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আমার হাতে ১০ লাখ টাকা তুলে দিলো ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এই টাকা দিয়ে গ্রামে জমি কিনবেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ ক্রেতাদের এমন বিশাল সুবিধা দেওয়া ওয়ালটনের সেবামুলক কাজ। এটা অনকে ভালো উদ্যোগ। এতে ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ওয়ালটনের পন্য ও সার্ভিস ভালো হওয়ায় আগে থেকে তার বাসায় ওয়ালটন পন্য ব্যবহার করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তারকা আমিন খান বলেন, ওয়ালটন শুধুমাত্র পুরস্কারের টাকা দেয়ার জন্য অফার ঘোষণা করে না। মূলত: গ্রাহকদের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য বিভিন্ন শহরে এসে বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কারের টাকা হস্তান্তর করে। একই সাথে গ্রাহকদের নকল পণ্য ক্রয় থেকে বিরত রাখতে ওয়ালটনের মত দেশীয় ব্র্যান্ডের আসল পণ্য ক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি বলেন, পৃথিবীর ৪৪টি দেশে ওয়ালটন ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানি করে। দেশে উৎপাদিত হওয়ায় ওয়ালটন পণ্যের দাম কম।
এজন্য বিদেশি পণ্য না কিনে দেশের পণ্য কিনে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করতে গ্রাহকদের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন শুধু ব্যবসা করেনা, পুরস্কারের এই অর্থে অনেক সাধারণ মানুষের জীবন চেঞ্জ হয়ে গেছে। মুখে হাসি ফুটেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সার্ভিস নেটওয়ার্ক ওয়ালটনের উল্লেখ করে তিনি মানুষকে আসল ও ভালো পণ্য পেতে ওয়ালটন পণ্য কেনার আহ্বান জানান।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, ওয়ালটন প্লাজার চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ ওয়াহিদুজ্জামান তানভির, চিফ ডিভিশনাল অফিসার নুরুল ইসলাম, চিফ ডিভিশনাল অফিসার আল মাহফুজ খান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আব্দুল হান্নান, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার রাজীব ফেরদৌস, খালিশপুর ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার রবিন মিয়া, এসি সেলস মনিটরিংয়ের শাহরিয়ার আলম অপু ও ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমানসহ ওয়ালটনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা প্লাজা ম্যানেজার কর্মচারী ডিলার ও ব্যবসায়ী সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত মিঠুন দত্তের স্ত্রী সরস্বতী দত্ত অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, তার স্বামী ১০ লাখ টাকার পুরস্কারের ম্যাসেজ পেয়ে প্রথমে তাকে জানান। বিষয়টি তাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না কিন্তু ওয়ালটন একটি বিশ্বস্ত ব্রান্ড হওয়ায় তারা অবিশ্বাসও করছিলেন না। পরবর্তীতে ওয়ালটন থেকে তাদের ফোন করে জানালে তারা বিষয়টি নিশ্চিত হন। এ ধরনের পুরস্কার এই প্রথম হওয়ায় তিনি অনেক খুশি।
ঊআ-বিএস