পরেশ দেবনাথ , কেশবপুর (যশোর) : কেশবপুরে প্রণোদনার পেঁয়াজের বীজ আবাদ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষক সাইদুর রহমান। উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ৩০ শতক জমিতে তার আবাদ করা পেঁয়াজ আকারের হয়েছে। ক্ষেতের পাঁচটি পেঁয়াজের ওজন হয়েছে এক কেজি। এর আগে এ এলাকায় এত বড় আকারের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়নি বলে কৃষকরা দাবি করেছেন।
কৃষক সাইদুর রহমান জানান, তিনি গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া প্রণোদনা এককেজি পেঁয়াজের বীজ পান। ওই বীজ খেতে রোপণ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। খেতের বড় আকারের পাঁচটি পেঁয়াজে এক কেজি করে ওজন হচ্ছে। বড় আকারের পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার খবরে এলাকার কৃষক সমাজের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষ ওই পেঁয়াজের ক্ষেত দেখার জন্য ভিড় করছেন।
সম্প্রতি কৃষক সাইদুর রহমান তার ক্ষেতের ছয়টি পেঁয়াজ নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে আসেন। ওই ছয়টি পেঁয়াজের ওজন হয় এক কেজি তিনশ’ গ্রাম। প্রণোদনা দেওয়া বীজে বড় বড় পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায় কৃষকের পাশাপাশি কৃষি অফিসের কর্মকর্তারাও খুশি প্রকাশ করেছেন। কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, ৩০ শতক জমিতে পেঁয়াজের উৎপাদন খুবই ভালো হওয়ায় তিনি লাভবান হবেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম খান বলেন, পেঁয়াজের বীজ পাওয়া কৃষক সাইদুর রহমানকে পরামর্শ দিয়ে বীজ বপন করতে বলা হয়। ওই বীজে বাম্পার ফলন হওয়ায় অন্য কৃষকরাও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার ৯০ জন কৃষককে বিনামূল্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ১ কেজি করে নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজের বীজসহ সার দেওয়া হয়। গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ আবাদ করে সফলতা পাওয়া কৃষক সাইদুর রহমান তার খেতের উৎপাদিত পেঁয়াজ নিয়ে অফিসে আসেন। তার মতো অন্য কৃষকরাও প্রণোদনার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করে সফলতা পেয়েছেন।