ঊষার আলো প্রতিবেদক : দীর্ঘ ১৫ মাস পর নগরীর খালিশপুরে বহুল আলোচিত চা দোকানদার মো. লিটন শেখ (৪২) হত্যা মামলার চার্জশীট দাখিল হয়েছে। গত ২৩ জুন জয়নাল ফারাজিসহ ২১জনকে আসামী করে আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করা হয়। চার্জশীট নং-১০৭, তাং-২৭,০৫,২২ইং। ধারা-১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২/৩৪।
চার্জশীট দু’টি ভাগে দাখিল করা হয়েছে। চার্জশীটের একটি ভাগে অভিযুক্ত ২০ জন, অপরঅংশে অপ্রাপ্ত বয়স্ক একজন। যার চার্জশীট নং-১০৭(ক)। আসামীদের মধ্যে ১০জন পলাতক রয়েছে বলে চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিশপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুন্ডু এ চার্জশীট দাখিল করেন। তবে বাদী পক্ষ চার্জশীট দাখিলের ব্যাপারে কিছু জানে না বলে জানান নিহতের ছোট ভাই ইমামুল হক।
ইমামুল জানান, গত দু’ মাস আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের নাম ঠিকানা ঠিক করার জন্য তাদের কাছে আসেন। এরপর আর কোন যোগাযোগ নেই। চার্জশীট কপি হাতে পেলে এ ব্যাপারে বলা যাবে।
উল্লেখ্য, এ খুনের ঘটনায় লিটনের স্ত্রী হেলেনা বেগম বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় জয়নাল, শাহাদৎ, আজা লিটন, রাজু, রোকন, আল আমিন, আসলাম, টিক্কি রুবেল, আকিব, সাকিব, আব্দুল্লাহ, এলকো সোহেল, গরু মামুন, মাড়–য়া আল আমিন, হেলাল, সাব্বির, মোঃ মাহির, বাবু, আশিকুর রহমানসহ মোট ১৯ জনের নামে এজাহার করেন। মামলায় আরো ১০/১৫ জনকে আজ্ঞাত আসামী করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অধিকাংশ আসামী গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত উত্তর কাশিপুর মুরাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৈল-এর ছেলে আব্দুল্লাহ এলাকার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে অর্ধ ডজন মাদক মামলা রয়েছে বলে ১৯ এপ্রিল আদালতে প্রেরিত প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসব তথ্য উল্লেখ করেন।
ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, চা বিক্রেতা লিটন মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। বাদী বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সাথে কোন যোগাযোগ করা হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, চার্জশীট দাখিলের ব্যাপারে বাদী পক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। চার্জশীটে কতজনকে আসামী করা হয়েছে তা তার মনে নেই বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ১৭ এপ্রিল’২১ দিনগত রাত ১টার দিকে লিটনকে কয়েকজন ফোন করে ডেকে নেন। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিটন ও আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। তাদের চিৎকারে স্বজনরা ছুটে এসে লিটন ও আমিন উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিটনকে মৃত ঘোষণা করেন। মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় তাকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা খুন করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।