খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের রান্না ঘরে দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা এর একটি টিম আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে রান্না ঘরে রোগীদের জন্য রান্না করা মুরগীর মাংস পরিমান কম ও ভাতের চালও নিন্মমানের সত্যতা পেয়েছেন। এছাড়া রান্না ঘর থেকে কাচা মুরগীর মাংস, চাল, ডিম ও বিভিন্ন মসল্লা পাচার করার উদ্দেশ্যে রাখা জিনিসপত্রও জব্দ করা হয়। এছাড়া কাগজ কলমে রোগীদের খাবারও কম পাওয়া যায়। এ সময় হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: মো: নুরুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ-মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
খুমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আজ মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ এর নেতৃত্বে একটি টিম হাসপাতালে সরাসরি রান্না ঘরে চলে আসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ- রকিবুল ইসলাম, সহকারি পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ ও উপ-সহকারি পরিচালক মো: শামীম রেজা। পরবর্তীতে অভিযানের সময় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ- নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ-মিজানুর রহমান উপস্থিত হন। এ সময় তাদের সামনে রান্না ঘরের মধ্যে রোগীদের খাবারের দুর্ণীতি ও অনিয়মগুলো তুলে ধরেন। এ সময়ে হাসাপাতালের স্টুয়ার্ড মো: হাবিব অভিযানের টিম আসার আগে সটকে পড়েন।
দুদকের খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, যেখানে প্রতি জন রোগীদের একপিস মাংস পাবে ৯৪ গ্রাম। সেখানে মাত্র ৪০ গ্রাম দেওয়া হচ্ছে। চিকন চালের পরিবর্তে মোটা চাল দেওয়ার প্রমান পায় দুদকের কর্মকর্তারা। এছাড়া মুরগীর মাংসের পিচ ১০৯৪ পিচ থাকার কথা কিন্তুু তারা ৩৩০ মুরগীর মাংসের পিচ কম পায়।
এর আগে দুদকের টিম রান্না ঘরে প্রবেশ করার সাথে হাসপাতালে নজরুল নামে একজন ফ্রি সার্ভিস ব্যাগ ও সাইকেল রেখে পালিয়ে যান। এ সময় তার রেখে যাওয়া ব্যাগের মধ্যে দুদকের টিম তল্লাশী চালিয়ে কাচা মুরগীর মাংস ৪ কেজি ৪৯ গ্রাম, ডিম (৪৯)টি, কলা -১৮ টি, শুকনা ঝাল কাচা মরিচ পিয়াজ মিলে ১ প্যাকেট, পাউরুটি-৪ পাউন্ড,লবন ১ প্যাকেট, পাওয়া যায়। ফলে দুদকের অভিযানের ফলে খাবারের পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ হয় ওই চক্রটি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ডায়েট অনুযায়ী যে চাল রোগীদের জন্য দেওয়া কথা সেখানে অতি নিম্মমানের চালের ভাত দেওয়া হচ্ছে। যা বাজার মুল্যে সর্বোচ্চ ৪০-৪২ টাকা হতে পারে। মুরগীর পিস যেখানে রোগী প্রতি পাওয়া কথা ৯৪ গ্রাম, সেখানে দেওয়া হচ্ছে ৪ ভাগের এক ভাগ। আমরা হসাপাতালের পরিচালকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে যাবো। এবং আমাদের আইন অনুযায়ী যা যা করার দরকার সে বিষয়ে দোষীদের ব্যবস্থা নিবো।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ- নুরুল ইসলাম বলেন, অনিয়ম ও দুর্ণীতি যেই করুক না কেনো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সব সময়ের জন্য দুদকে এমন অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের সহযোগিতা তাদের জন্য অব্যহত থাকবে।
ঊ/আ-এইচআর