ঊষার আলো ডেক্স : বিশ্ববাজারের চাহিদার কথা মাথায় রেখে খুলনার অঞ্চলের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষামূলক ভেনামি প্রজাতির চিংড়ি চাষের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে খুলনার ছয়টি, সাতক্ষীরার একটি এবং যশোরের একটি প্রতিষ্ঠান চলতি বছর থেকে ভেনামি চাষের অনুমতি পেয়েছে। বাকি যে চারটি প্রতিষ্ঠান সেগুলোকে অবকাঠামো সংস্কারের প্রতিবেদন দাখিলের পর ভেনামি চাষের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, অনুমতি পাওয়ার পর পর গত ৯ মে এমইউসি ফুডস থাইল্যান্ড হতে ১২ লাখ ভেনামি জাতের পোনা আমদানি করে পাইকগাছার লবণ পানি গবেষণা কেন্দ্রের পুকুরে চাষ শুরু করা করেছে।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্ব বাজারে ৮০ শতাংশ দখলে রাখা ভেনামি প্রজাতির চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষের অনুমতি না থাকার কারণে চিংড়ির বিশাল বাজার ধরতে পারছে না বাংলাদেশ। শুধু পাইলট প্রকল্প হিসাবে উৎপাদনের অনুমতির কারণে চাষি, উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারক ব্যাংকের ঋণ পাচ্ছে না। তাই তারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এই খাতে বিনিয়োগও করতে পারছে না। এই খারাপ অবস্থায় পাইলট প্রকল্পের জায়গায় ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন চিংড়ি রপ্তানিকারকরা।
(ঊষার আলো-এসএইস)