ঊষার আলো রিপোর্ট : খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলরত বাসে প্রথম দিনে কার্যকর করা হয়নি ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধির নির্দেশনা। মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধিও। প্রথমদিনে না হলেও আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) থেকে পুরোদমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, দেশে গত বছর করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। দুই মাস সেভাবেই চলে গণপরিবহন। তখনও বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়। বছর যেতে না যেতেই আবারও বেড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। প্রতিরোধের জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ১৮ দফার এক দফায় উল্লেখ করা হয়েছে, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। সরকারি নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস-মিনিবাস চালাতে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া নিতে চান মালিকেরা। এর অনুমোদনও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এসব বিষয়ে বৈঠক হয় বিআরটিএ’র সঙ্গে মালিক-শ্রমিকদের। বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয় বাস ও মিনিবাসে চালক, সহকারী ও যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়া বাসে জীবাণুনাশক হ্যান্ডস্যানিটাইজারও রাখতে হবে। তবে এসব নির্দেশনার কোনটাই প্রথমদিনে বাস্তবায়ন হয়নি খুলনায়।
সরেজমিন মহানগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ টার্মিনাল থেকে পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ অন্যান্য রুটের বাসে অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ভাড়ায় যাত্রী চলাচল করতে দেখা যায়। ছিল না স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের কোন বালাই। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে পুরোদমে ৬০% ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে।
খুলনা-সাতক্ষীরা রুটে চলাচলরত যাত্রী শামসুল ইসলাম বলেন, ভাড়া এখনও বাড়ানো হয়নি। তবে স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না। আগের মতো জনসমাগম পরিবেশেই এখনও যাতায়াত করা হচ্ছে।
খুলনা-বাগেরহাট রুটে চলাচলকারী সোনিয়া বেগম বলেন, বুধবার বাসের ভাড়া না বাড়ালেও আগামীকাল থেকে বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছন। তবে ভাড়া যতই বাড়ানো হোক না কেন আগের মতো অবহেলিত থাকবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের বিষয়টি।
খুলনা-সাতক্ষীরা রুটে চলাচলকারী গাড়ির সুপার ভাইজার আকরাম হোসেন বলেন, ভাড়া এখনও বাড়ানো হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বাড়ানো হবে।
খুলনা-পাইকগাছা-কয়রা রুটে চলাচলকারী গাড়ির চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, এখনও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে সবকিছু যথারীতি পালন করা হবে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)