UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ক কর্মশালা

usharalodesk
মার্চ ১৩, ২০২১ ৬:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তথ্য বিবরণী : খুলনা জেলায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম এবং এ বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত কর্মশালা শনিবার (১৩ মার্চ) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন বলেন, জন্ম সদন শিশুর অধিকার। সঠিক সময়ে জন্ম নিবন্ধন করার সুবিধা মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে হবে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে এক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সামনে এগুতে হবে। দেশে মা ও শিশু মৃত্যুহার অনেক কমে গেছে।  মৃত ব্যক্তির নিবন্ধন না হলে দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা নির্ণয় সম্ভব না। সময়মতো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করার জন্য সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে খুব সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে ২০১০ সাল থেকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আইন অনুযায়ী জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্মনিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিভিল রেজিস্ট্রেশন ও সামাজিক নিরাপত্তা অধিশাখার যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ খালেদ হাসান, খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের এম্বেডেড কনসালট্যান্ট নজরুল ইসলাম, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস বাংলাদেশের সিআরভিএস এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মোঃ মঈন উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মোঃ রেজাউল ইসলাম, সিভিল রেজিস্ট্রেশন অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ও খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ।
সিআরভিএস এর ধারণা, কালীগঞ্জ মডেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ও বিধিমালা, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এর সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালায় পাওয়ার প্রেজেন্টেশনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং খুলনা জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা অংশ নেন।