ঊষার আলো প্রতিবেদক : বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আধুনিকীকরণ করে চালু ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া দাবি কর্মসূচিতে বাধার অভিযোগ করেছেন শ্রমিক নেতারা। তারা বলেছেন, মহান স্বাধীনতার দিবসের প্রাক্কালে পুলিশ তাদের সভাস্থলে হামলা, মঞ্চ ভাঙচুর ও শ্রমিকদের নানাভাবে নাজেহাল করেছে। তার এ ঘটনার বিচার ও শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
শনিবার (২৬মার্চ) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পাট, সূতা বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সহিদুল্লাহ চৌধুরী, শ্রমিক নেতা কাজী রুহুল আমিন, হারুনুর রশিদ, খালিদ হোসেন, এইচ এম শাহাদাৎ, দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, মো. খলিলুর রহমান, সোহবার হোসেন, এস এম জাকির হোসেন, দ্বীন মোহাম্মদ মৃধা, কামরুল ইসলাম, শাহানা পারভীন, মুরাদ হোসেন, আবু জাফর আহমেদ, কবির খান. সেলিম শিকদার প্রমুখ।
শ্রমিক নেতারা বলেন, সরকার অংশীজনের জনের সাথে কোন ধরণের আলোচনা ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে ২০২০ সালের ২ জুলাই ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের উৎপাদন বন্ধ করে শ্রমিক কর্মচারীদের ছাঁটাই করে। তখন সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, ২ মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা পরিশোষ এবং ৩ মাসের মধ্যে কারখানার উৎপাদন চালু হবে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আজ পর্যন্ত ১০ সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। বন্ধকৃত মিল চালু করা হয়নি। এমনকি চালুর কোনো সম্ভাবনাও দেশবাসীর নিকট পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বর্তমান পাট প্রতিমন্ত্রী বা এই মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আদৌ পাটকল চালু সম্ভব নয়।
মূলত পাটকলের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের জন্য পাটকগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে শ্রমিক নেতারা বলেন, বেসরকারি পাটকলগুলো লাভজনক হলেও সরকারি পাটকলগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। যন্ত্রপাতি আধুনিক করে সহজেই মিলগুলো লাভজনক করা সম্ভব।
শ্রমিক নেতাদের দাবি, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে এদেশের পাটকল, পাটশিল্পের অবদান রয়েছে। অথচ সরকারের অভ্যন্তরে থাকা একটি চক্র এই পাটশিল্পকে ধ্বংস করছে। খুলনার খালিশপুরে শ্রমিকদের কর্মসূচিতে বাধা, শ্রমিক পীড়ন সেই ধারাবাহিক ঘটনার প্রমাণ।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকদের কর্মসূচিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় কর্মসূচি পালনে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা একাধিক বার পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি শ্রমিক নেতাদের অনুরোধ করেছি। ’