UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলে ডুমুরিয়ায় বিএনপির কর্মীসভা

koushikkln
অক্টোবর ১৩, ২০২২ ১০:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান বলেছেন, জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গণে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন। সেই কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের অদুরে চট্টগ্রামের পোলোগ্রাউন্ড থেকেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ফ্যাসিষ্ট সরকার নিপাতের একদফার আন্দোলনে গণসমাবেশের সূচনা হয়েছে। এ গণসমাবেশের সফলতার মধ্যদিয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরবে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তরান্বিত হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাধ্য করা হবে। তাই যেকোনো মূল্যে আগামী ২২ অক্টোবর খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরের বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল ও স্বার্থক করতে হবে। এই গণসমাবেশ শুধু বিএনপি’র বা রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়; এটা নিশিরাতের ভোটডাকাত সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগনের লালকার্ড দেখানোর সমাবেশ।

 

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানী ও ভোজ্য তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে পাঁচজন নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। আগামী ২২ অক্টোবর নগরীর লোয়ার যশোর রোডস্থ সোনালী ব্যাংক চত্তরে খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, পাড়া-মহলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ছড়িয়ে পড়তে হবে। প্রত্যেকের দ্বারেদ্বারে যেয়ে এ সরকারের ১৪ বছরের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ২২ অক্টোবরের গণসমাবেশ খুলনার গণমানুষের সমাবেশ বিশাল জনসমুদ্রে রূপ নেবে ইনশাআল্লাহ্।

ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজের সভাপতিত্বে প্রস্তুসি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলি জুলু, এসএম শামীম কবির, কেএম আশরাফুল আলম নান্নু, মোঃ সামসুল আলম পিন্টু।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা শেখ সরোয়ার হোসেন, শেখ হাফিজুর রহমান, সরদার আব্দুল মালেক, শেখ দিদারুল ইসলাম দিদার, শেখ আব্দুল হালিম, শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সাহিনুর রহমান, মোঃ মশিউর রহমান লিটন, মোল্লা করির হোসেন, খান ইসমাইল হোসেন, মোঃ হাবিবুর রহমান হবি, মোঃ মাহাবুর রহমান, মোঃ জহুরুল ইসলাম, শেখ ফরহাদ হোসেন, আমিনুর রহমান মোড়লসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি ও উপজেলার সকল অংগ সহোযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।