ঊষার আলো রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আমরাই লড়াই করেছি। সাংবাদিকদের সুখে-দুঃখে পাশে আছি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আমরা ক্ষুণ্ন করতে চাই না। কিন্তু সাংবাদিকদের রেসপন্সিবল সাংবাদিকতা করতে হবে।’
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যশোরের সাংবাদিক শামসুর রহমান, খুলনার মানিক শাহা, হুমায়ূন কবিরসহ অসংখ্য সাংবাদিককে যারা হত্যা করেছে, সেই ফখরুল সাহেবরা আজ কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন দেয়। তারা সাংবাদিকদের স্বাধীনতার জন্য মায়াকান্না করে। এদেশের অসংখ্য সাংবাদিককে হত্যার হোতা হচ্ছে তারা। সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড থেকে শুরু করে তাদের কল্যাণে যা কিছু হয়েছে, আমি নির্দ্বিধায় বলব তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন।’
বিএনপির শনিবারের কর্মসূচির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল আবারও হুংকার ছুড়েছে গণ-অভ্যুত্থানের। বাংলাদেশে আন্দোলনের একটা ঢেউ দেখলাম না আর গণ-অভ্যুত্থান হয়ে গেছে। কবে হবে গণ-অভ্যুত্থান? কোন বছর? দেখতে দেখতে ১৪ বছর, অভ্যুত্থান হবে কোন বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর? তাদের গতকালের (শনিবার) কর্মসূচিতে দেখলাম ৫০০ থেকে ৭০০ লোকের উপস্থিতি। এটা হলো তাদের গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষণ। এখন জেলা পর্যায়েও কোথাও এক হাজার লোক হয়। আর এই রোজার দিনে তারা রাস্তা বন্ধ করে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এদের আন্দোলন কেউ মেনে নেবে?
সেতুমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বলে, ভুল তো অপরাধ নয়। অপরাধকে নিছক ভুল বলে কি এড়িয়ে যাওয়া যায়? অপরাধ, জঘন্যতম অপরাধ। অপরাধ চাইল্ড অ্যাবিউজ নয়, চাইল্ড এক্সপ্লইটেশন (শোষণ)। আমি বলতে চাই, যারা আজ বিবৃতি দিচ্ছেন, উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের চাইল্ড এক্সপ্লইটেশন হলে কী হতো? সেই গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কিছু ধৈর্যের সঙ্গে নেন। তিনি ঠান্ডামাথায় কাজ করেন। শিশুর হাতে আপনি ১০ টাকা ঘুস দিয়ে এ ধরনের কথা, পরে বললেন ভুল। এই ভুলের জন্য তাদের কেউ কি ক্ষমা চেয়েছে?
তিনি বলেন, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে কারও উদ্ধৃতি স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশ করা, এটা কি দেশের প্রতি ভালোবাসার সামান্যতম নিদর্শন? এটা দেশকে কটাক্ষ করার শামিল। স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা আর আমার এই মাতৃভূমি বাংলাদেশকে কটাক্ষ করা দুটোই এক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাংলাদেশের অর্জন; এত ছোট কেন আমাদের কাছে? বিদেশিরা প্রশংসা করে; আমাদের দেশ প্রশংসা করতে জানে না, ধন্যবাদ দিতে জানে না, অভিনন্দন জানাতে জানে না; জানে শুধু অকথ্য ভাষায় সমালোচনা করতে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শিশুদের নিয়ে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও ‘সত্তায়-সাহসে-শক্তিতে মুজিব’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখবন্ধে ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সম্পাদনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ‘স্মারকগ্রন্থ ১৭ মার্চ ২০২০ (১ম খণ্ড)’ বিতরণ করা হয়।
ঊষার আলো-এসএ