ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনায় গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ ঘটনায় র্যাব-৬ সদস্যরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬ এর মুখপাত্র লে: কর্ণেল মোশতাক আহমদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ বিকালে খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা বাজার এলাকায় ভিকটিম স্বামীসহ ঘুরতে যায়। একই দিন সন্ধ্যায় ঘোরাফেরা শেষে ভিকটিম ও তার স্বামী বাইপাস মোড় থেকে আড়ংঘাটা বাজার যাওয়ার সময় ৪ জন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের থামায়। তখন আসামীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভিকটিমের স্বামীকে একটি স্থানে আটকে রাখে এবং ভিকটিমকে একটি বাসার ছাদে নিয়ে একই তারিখ রাত অনুমান সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দলবদ্ধভাবে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষনের সময় আসামীরা মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনাটি কোথাও জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে গভীর রাতে আসামীরা ভিকটিমকে রাস্তার উপর ছেড়ে দেয়। ভিকটিম বিষয়টি তার স্বামীকে জানায়। ভিকটিমকে অসুস্থ অবস্থায় ঐদিন রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম বাদী হয়ে কেএমপি খুলনার আড়ংঘাটা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকে র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
তিনি বলেন, র্যাব-৬, (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল গণধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য প্রাপ্তির পর ১৫ ডিসেম্বর রাত অনুমানিক সাড়ে ১২টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলায় র্যাব সদস্যরা আড়ংঘাটার বেলাল মোড়ল(৪৬), দৌলতপুরের আজিজুর রহমান মিঠু(৪০), দিঘলিয়ার জিহাদ মুন্সি(২৪), ও কলেজ ছাত্র রাসেল(২২)কে গ্রেপ্তার করে। এসময় আসামীদের নিকট হতে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। মোবাইলে ধর্ষণের ঘটনার সময় ধারণকৃত ভিকটিমের সংবেদনশীল ভিডিও পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের কেএমপি খুলনার আড়ংঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।