UsharAlo logo
সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 জন্মনিবন্ধন সংশোধনে ৫০ টাকার স্থলে সাড়ে ১৪শ’ নেওয়ার অভিযোগ !

koushikkln
মার্চ ৯, ২০২২ ৯:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল) : বরিশালের বানারীপাড়ায় বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত ও সচিব মেজবা উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক স্কুল শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধনের সংশোধনীতে প্রধানমন্ত্রীর ধার্য্যকৃত মাত্র ৫০ টাকার স্থলে সাড়ে ১৪শ’ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে বরিশাল জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট  রিপন কুমার সাহা বুধবার ( ৯ মার্চ ) দুপুর ১২টায় তার কার্যালয়ে অভিযোগকারী মিজানুর রহমান আকন ও অভিযুক্ত বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত এবং সচিব মেজবা উদ্দিনকে নিয়ে শুনানী করেন।

এসময় তিনি দু’পক্ষের বক্তব্য মৌখিক শোনেন ও লিখিতভাবে নেন। জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান আকন তার মেয়ে স্থানীয় চৌমোহনা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সূচনার জন্মনিবন্ধনের বাংলাকে ইংরেজী ভার্সনে রূপান্তর (সংশোধন) করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তার কাছ থেকে দু’বারে সাড়ে ১৪শ’ টাকা নেওয়া হয়। এ সংশোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০টা ফি ধার্য্য করে দিয়েছেন।  এ বিষয়টি জানা থাকায় তার কাছ থেকে ৫০ টাকা ফির স্থলে ১৪শ’টাকা অতিরিক্ত নেওয়ায় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহাকে নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে বিশারকান্দি ইউপি সচিব মেজবা উদ্দিন বলেন,সূচনা ও তার বাবা এবং মায়ের দু’বার নাম,সাল,জন্ম তারিখ ও ওয়ার্ড সংশোধন বাবদ সাড়ে ১৪শ’ টাকা নয়, প্রথমে ৬শ ও পরে ২৫০ টাকা মোট সাড়ে ৮শত টাকা নেওয়া হয়েছে। যা লিখিতভাবে ইউএনওকে জানানো হয়েছে। এ ব্যপারে বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, সচিবের বক্তব্যই তার বক্তব্য।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা  বলেন, দু’পক্ষকে নিয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যপারে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এদিকে জন্মনিবন্ধন সংশোধনে শুধু বিশারকান্দি নয়, উপজেলার অন্য ইউনিয়ন পরিষদগুলোর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে। এতে হয়রানীর শিকার ভূক্তভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।