পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছার পল্লীতে জায়গা জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ উদয় দেবনাথ গংরা মনোরঞ্জন দেবনাথ গংদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মনোরঞ্জন দেবনাথের পরিবার। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা বাজার থেকে কাটিপাড়া অভিমুখে যাওয়ার পথে ভবানীপুর মৌজার ৫ শতক জমি নিয়ে মৃত গোবিন্দ দেবনাথের ছেলে মনোরঞ্জন দেবনাথদের সাথে একই এলাকার মৃত যামিনী দেবনাথের ছেলে উদয় দেবনাথ গংদের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। নালিশী সম্পত্তি মনোরঞ্জন দেবনাথের পিতা গোবিন্দ দেবনাথের নামে এসএ রেকর্ড থাকলেও বর্তমান জরিপে দু’পক্ষের নামেই নালিশী জমি রেকর্ড হয়। সে অনুযায়ী দু’পক্ষ উক্ত জমি সমান অংশে ভোগ দখল করে আসছে।
সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের আগে উদয় গংরা নালিশী সম্পত্তিতে ঘর বাঁধার চেষ্টা করলে মনোরঞ্জন গংদের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। এ সময় তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদার ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ দু’পক্ষকেই সমান অংশে ভোগ দখল করার জন্য পরামর্শ দেয়। চেয়ারম্যানদের এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদয় দেবনাথরা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মনোরঞ্জন দেবনাথ গংদের বিরুদ্ধে ৩২/২২ নং ১৪৪ ধারা মামলা এবং পরবর্তীতে ২৫/২২ নং ১০৭/১১৭ ধারা মামলা করে। এ মামলায় ঢাকায় অবস্থানরত মনোরঞ্জন দেবনাথের ছেলে চৈতন্য দেবনাথ, অনিমেষ দেবনাথ ও চট্টগ্রামে অবস্থানরত নিরঞ্জন দেবনাথের ছেলে গৌর দেবনাথ এবং শরিয়তপুরে অবস্থানরত নন্দ দেবনাথকে আসামী করে চরমভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মনোরঞ্জন দেবনাথের পরিবার।
সর্বশেষ মনোরঞ্জন দেবনাথ বাদী হয়ে উদয়, শক্তি ও প্রবীর দেবনাথকে আসামী করে একই নির্বাহী আদালতে ১৪৫ ধারা মামলা করে। এ মামলায় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা লতিফা খানম সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে নালিশী জমি দু’পক্ষকে সমান অংশে ভাগ করে দেয়।
মনোরঞ্জন দেবনাথ বলেন, নালিশী জমি আমার পিতা গোবিন্দ দেবনাথের নামে এসএ রেকর্ড থাকায় প্রতিপক্ষ উদয় দেবনাথরা ভবিষ্যতে জমি পাবেন না এমন আশংকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের পরিবারের যে সব সদস্যরা কর্মরত রয়েছেন তাদেরকে মামলার আসামী করে হয়রানি করছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মনোরঞ্জনের পরিবার।
(ঊষার আলো-এফএসপি)