ঊষার আলো ডেস্ক : শাসকগোষ্ঠী বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের, গ্রেফতার ও কারান্তরীণের পাশাপাশি বিরামহীন দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দমন নিপিড়ন চালিয়ে লুটেরা সরকার, নিশিরাতের সরকার, ভোট ডাকাত সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। ডিসেম্বর মাস ঐতিহ্যের মাস, এই মাসে হানাদারর বাহিনীকে হটিয়ে বাংলার আকাশে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছি। এই মাসে জাতি বিজয় অর্জন করেছে। এই মাসেই লুটেরা, টাকা পাচারকারী সরকারের পতন হবে। ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বন্ধ করা যাবে না। মামলা-হামলার ভয় এদেশের মানুষ পায় না-তারা জেগে উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এবং আগামী দিনের কান্ডারী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আমরা ঘরে ফিরবে।
‘পুলিশের মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা, পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে’ বুধবার (৩০ নভেম্বর) সারাদেশের ন্যায় খুলনার কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন ও অনাচারের করাল গ্রাস থেকে এখনই দেশকে মুক্ত করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপির আমলে চালের কেজি ছিলো ১৬ টাকা অবৈধ সরকার বলেছিলো ১০ টাকায় চাল দিবেন কিন্তু মিথ্যাবাদি সরকার সেকথা রাখেনি। দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনকারীদের ১০জন নেতাকর্মীকে সরকার গুলি করে হত্যা করেছে।
আমরা এই হত্যার বিচার দাবি করছি না। জনগনের সরকার একদিন প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার করবে। এখন আর মানুষ ঘরে থাকতে চায় না। লুটেরা, খুনি,
স্বৈরাচার হাসিনার হাত থেকে মুক্তি পেতে তারা রাজপথে নেমে এসছে। তিনি
প্রশ্ন রাখেন, কি অন্যায় করেছিলো খুলনার ফুলতলার বিএনপি নেতা সাজ্জাদুজ্জান জিকো? কেন তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হলো? তিনি
বলেন জিকো চেয়েছিলো বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, জিকো চেয়েছিলো তারেক রহমান দেশে ফিরে আসুক, জিকো চেয়ে ছিলো লুটেরা সরকারের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে। সেজন্য জিকোকে হত্যা করে সাধারন মানুষের কন্ঠকে স্তব্ধ করার যে স্বপ্ন এই সরকার দেখেছিলো তা স্বপ্নই থেকে যাবে। জিকোকে হত্যাকারী কারা তা প্রশাসন জানেন উল্লেখ করে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। সভা সমাবেশ করতে এখন আর লাঠি লাগে না-গাড়ি লাগে না- মানুষকে টাকা দিতে হয় না।
দুদু বলেন, সরকারি ব্যাংক আগেই লোপাট হয়েছে। এখন শুনছি বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক যেটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। গত এক মাসে সেই ব্যাংক থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন লুটেরাদের সরকার ক্ষমতায়। এদেশে লুটের উৎসব চলছে। তারা (আওয়ামী লীগ) লুট করার জন্য ক্ষমতায় এসেছে। পার্লামেন্ট এসেছে লুট করার জন্য। এদের যদি পতন করতে না পারি। তাহলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, প্রশাসনকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে এই অবৈধ সরকার। যারা (পুলিশ) এই অপকর্ম করেছে তারা জানে না ৭১ সালে পাকহানাদারের বিরুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এবং এই যুদ্ধের অন্যতম সিপাহসালার ছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অবৈধ সরকার প্রধান ও তার মন্ত্রী পরিষদ সংসদ সদস্যরা সমালোচনা করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, গোটা জাতি যখন ছিলো দিশেহারা তখন স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে জিয়াউর রহমান মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তিনি ( জিয়াউর রহমান) বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী, তারেক রহমানের পিতা।
প্রধান বক্তা সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, মাফিয়া সরকারের সময় শেষ হয়ে
গেছে। বাংলার সাধারন জনগন জেগে উঠেছে। মামলার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই উল্লেখ করে হেলাল বলেন, গুটি কয়েক পুলিশ সদস্য গড়ায়েবী মামলা দিচ্ছেন। তাদের মনে রাখা উচিত তারাও কিন্তু আমাদের মাঝে বসবাস করেন, তাদের পরিবার পরিজন আছে। সময় সবকিছুর জবাব দিবে। ঢাকায় সমাবেশে বাধা দিলে শেখ হাসিনা মসনদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিবে এদেশের জনগন। ১০ ডিসেম্বর হবে ২৫লক্ষ মানুষের সমাবেশ। সেই সমাবেশ থেকে হাসিনা সরকারকে বিদায় করতে একদফার আন্দোলনের ডাক আসবে। সকল দুর্নীতি, অনিয়মের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে সরকারকে। সেদিন আর বেশি দুরে নয়-যেদিন কাঠগড়ায় তাদের দাড়াঁতে হবে।
খুলনা মহানগর শাখার আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, জুলফিকার আলী জুলু, স. ম. আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এস এ রহমান বাবুল, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মোস্তফাউল বারি লাবলু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, অধ্যা. মনিরুল হক বাবুল, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম নান্নু, শামসুল আলম পিন্টু, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল, মনিরুজ্জামান মন্টু, ডা. গাজী আব্দুল হক, চৌধুরী কাওসার আলী, শেখ জাহিদুল ইসলাম, ডা. আব্দুল মজিদ, আ. রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, ওয়াহিদুর রহমান দিপু, খায়রুল ইসলাম জনি, তানভিরুল আজম, সাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, অসীত কুমার সাহা, কে. এম. হুমায়ূন কবির, শাকিল আহমেদ দিলু, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, শেখ আসগর আলী, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মো. হাফিজুর রহমান, মনিরুজ্জামান লেলিন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, অ্যাড. চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, নাজির উদ্দিন নান্নু, নাজমুস সাকিব পিন্টু, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আহসান উল্লাহ বুলবুল, অ্যাড. মো. আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, আরিফুর রহমান, খন্দকার ফারুক হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, গাজী আফসার উদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, সেলিম সরদার, সরোয়ার হোসেন, মো. জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, রফিকুল ইসলাম বাবু, সাইদুজ্জামান খান, হাসনাত রিজভি মার্শাল, সরদার আব্দুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, মনির হাসান টিটো, শেখ আবুল বাশার, নুরুল আমিন বাবুল, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, গাজী আব্দুল হালিম, হেলাল উদ্দিন, সামসুল বারি পান্না, মোল্লা সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান খান, এস এম এনামুল হক, এমদাদ হোসেন, নুরুল হক, আসাদুজ্জামান আসাদ, মতলেবুর রহমান মিতুল, স্বেচ্ছসেবক দলের আতাউর রহমান রুনু, শফিকুল ইসলাম শাহিন, ওহিদুজ্জামান হাওলাদার, যুবদলের এবাদুল হক রুবায়েত, আব্দুল আজিজ সুমন, কৃষক দলের মোল্লা কবির হোসেন, আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, শেখ আবু সাঈদ, মহিলা দলের এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, সেতারা সুলতানা, ছাত্রদলে সতিয়াক আহমেদ ইস্তি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মো. তাজিম বিশ্বাস, জাসাসের আহবায়ক নুর ইসলাম বাচ্চু, আশরাফুল আলম নুর, তাঁতীদলের আবু সাঈদ শেখ, শ্রমিকদলের উজ্জল কুমার সাহা, খান ইসমাইল হোসেন। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু ও শেখ সাদী।