UsharAlo logo
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার বাসযোগ্যতা: ফিরিয়ে আনতে হবে সবুজ

usharalodesk
জুন ২৪, ২০২৩ ৬:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : আমাদের রাজধানী ঢাকা যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে, এবারও তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার পেল। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের দ্য গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৩-এ বিশ্ব বাসযোগ্যতার সর্বশেষ সূচকে এ নগরীর অবস্থান রয়ে গেছে তলানিতেই।

বিশ্বে যে দেশগুলোর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশ তার অন্যতম। মেগাসিটি রাজধানী ঢাকায় এর প্রভাবটা আরও বেশি। একদিকে গাছপালা কেটে নতুন নতুন দালানকোঠা নির্মাণ, অন্যদিকে মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন এ নগরীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করছে। তাই নগরীতে এখন আগের মতো ঋতু বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায় না। প্রকৃতিতে দীর্ঘ হচ্ছে গ্রীষ্মকাল।

অন্যদিকে শীত ও অন্যান্য ঋতুর প্রভাব অনুভূত হচ্ছে কম। বস্তুত অপরিকল্পিত নগরায়ণ, অতিরিক্ত দূষণ, জনসংখ্যার অতি ঘনত্ব ইত্যাদি কারণে নগরীর পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর ক্রমাগত পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। তাপমাত্রা বৃদ্ধিও ঢাকা নগরীর বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠার একটি কারণ বৈকি। এ নগরীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে প্রভাবটা পড়ছে তা ‘হিট আইল্যান্ড ইফেক্ট’ নামে পরিচিত। এর মাশুল দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

আমরা আমাদের প্রিয় নগরীর প্রাণভোমরাকে তিলে তিলে ধ্বংস হতে দিচ্ছি। এ অবস্থা চলতে পারে না। এ থেকে উত্তরণ জরুরি। প্রশ্ন হলো, কীভাবে তা সম্ভব? প্রথমত, পরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে এ নগরীতে সবুজ ফিরিয়ে আনতে হবে। উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনতে হবে বায়ুদূষণ। দ্বিতীয়ত, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট যে বিষয়গুলোকে বাসযোগ্য শহরের মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে, সেগুলোয় দৃষ্টি দিতে হবে। যেমন-স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো।

এসব ক্ষেত্রে অবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর কাজ হতে হবে পরিবেশবান্ধব। রাজধানীতে কোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় এই চিন্তা মাথায় রাখতে হবে। এসব বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা যদি আন্তরিক হন এবং জনসচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেন, তাহলে আমাদের রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তোলা কঠিন কিছু নয়।

ঊষার আলো-এসএ