ঊষার আলো ডেস্ক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেছেন, দেশে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ও নতুন নতুন উদ্ভাবনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনা দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি এ খাতে তরুণ সমাজের সম্পৃক্ততা ও দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন।
তিনি বলেন আগামীর বাংলাদেশের সাফল্য বহুলাংশে নির্ভর করছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের বিকাশের উপর। তিনি আরও বলেন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং এসডিজি অর্জনে এ খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমান সরকার দেশের তৃণমূল পর্যায়ে আইসিটির সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ ও কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি শনিবার (২১ মে) সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনাকালে এ কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র অবস্থান সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জীববিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সবিশেষ অবদান রাখছে। বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে প্রশংসা করে। তিনি বলেন প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, উদ্ভাবনা এবং তা বিতরণ ও সংরক্ষণ। তিনি আশা করেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর অবস্থান সংহত রেখে এ ক্ষেত্রে আরও উৎকর্ষ লাভ করবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য একটি সেন্ট্রাল ল্যাব স্থাপনে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহায়তার আশ্বাস দেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ৪র্থ তলায় ইনোভেশন হাবের নির্ধারিত স্থান এবং লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন। লাইব্রেরি পরিদর্শনকালে তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে যান এবং সেখানে সংগৃহীত বিপুল সংখ্যক বইপুস্তক ও লাইব্রেরির পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছিলে উপাচার্য তাঁকে স্বাগত জানান এবং জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে খুলনার উন্নয়নে তাঁর আন্তরিক ভূমিকা ও অবদান স্মরণ করেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনসহ বিভিন্ন কাজে সহযোগিতার জন্য তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট ও নিজের রচিত সুন্দরবনের উপর একটি গ্রন্থ উপহার হিসেবে উপাচার্য সিনিয়র সচিবের হাতে তুলে দেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, সফরসঙ্গী কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তরের উর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
(ঊষার আলো-এফএসপি)