ঊষার আলো প্রতিবেদক : গত ক’দিনের প্রচন্ড তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে মানব জীবনে নেমে এসেছে এক দুর্বিষহ কষ্ট। বৈশাখের কাঠফাটা রোদ্দুরের সাথে যোগ হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান মাসের সিয়াম সাধনা। রমজানের অষ্টমদিনে বুধবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে প্রচণ্ড তাপদাহে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বেলা বাড়ার সাথে-সাথে মাঠ-ঘাট-হাট-বাজারে খেটে খাওয়া মানুষগুলো একটু ছায়ার জন্য দিগ্বিদিক ছুটে চলছে।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নির্মাণ শ্রমিক, ভ্যানচালক, অটোরিকশা চালক ও মাঠে-ঘাটে কাজ করা দিনমজুরির লোকগুলো। এছাড়াও সরকার ঘোষিত লকডাউনে রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের কড়া নজরদারির দৌড়ঝাঁপ। দীর্ঘ আট মাস কোন বৃষ্টি না হওয়ায় আবহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুষ্ক মৌসুম পরিণত হয়েছে পুরো এলাকা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৯ এপ্রিল) খুলনায় তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ কমে নেমে এসেছে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রাজশাহীতে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) যশোরে ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা, যশোর, বগুড়া অঞ্চলসহ ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই এলাকার কয়েকটি জায়গায় একবার বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ো বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)