UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগরীতে টানা বৃষ্টিতে হাঁটুপানি, জনজীবনে দুর্ভোগ

usharalodesk
জুলাই ১, ২০২১ ৯:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : চলছে বর্ষাকাল। বর্ষাকাল চলছে দেখা মিলেছে ছিটে ছাটা বৃষ্টির। তবে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বেলা গড়ার সাথে সাথে দুপুর নাগাত শুরু হয়ে হয় টানা বৃষ্টির প্রতিযোগিতা। একটানা চলছে তো চলছে বৃষ্টি, প্রবল ভারীবৃষ্টি। বৃষ্টিতে নগরীর দৌলতপুর সর্বত্র হাঁটুপানি জমে গেয়ে। বিশেষ করে আজ্ঞুমান রোড হতে ঋষিপাড়ার মোড় দেখা মনে হয়নি এটা কোন চলাচলের সড়ক, মনে হয়েছে দীর্ঘ কোনো খালদিয়ে সাধারণ মানুষ পাড় হচ্ছে, কেবল নৌকারই অভাব টানা ভারীবর্ষনে এমনিই একটি পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে নগরীর সর্বত্র জুড়ে। বিরতীহীন ভাবে অঝরে ঝরা ভারী বর্ষা মাঠ-ঘাট, পুকুর, ড্রেন, বাসা-বাড়ী সর্বত্র পানিতে সয়লাব। হঠাৎ এ টানা বর্ষা দৌলতপুর বাসীকে ঘরবন্দী করে ফেলেছে। বাইরে গেলেই হাতে বাধ্যতামূলক ছাতা। বৃষ্টির বন্ধ নেই, টানা চলছে বৃষ্টি সমগ্র আকাশ মেঘে ঢাকা। টানা বৃষ্টিতে দৌলতপুরসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নগরীর দৌলতপুরের খুলনা-যশোর মহাসড়ক সংলঘ্ন, আঞ্জুমান রোড, আমতলা মোড়, ঋষিপাড়া মোড়, সরদার লেন, দৌলতপুর খান রোড, মুহসীন মোড়, কল্পতরু মাঠ চত্বর ,কৃষি কলেজ কবরখান সংলঘ্ন রোড, হোসেন শাহ রোড, দেয়ানা উত্তরপাড়া মাঠ চত্বর, গাজীবাড়ি মোড়, পাখির মোড়, আসাদের মোড়, যশোর মোড়, চুন্নুর বটতলা, পাবলা তিন দোকানের মোড়, ডে নাইট কলেজ মোড়, সবুজ সংঘ মাঠ চত্বর, পাবলা বনিকপাড়া, কুলিবাগান মোড়, মধ্যডাঙ্গা নগর, পালপাড়া মোড়, রেলিগেট মোড়সহ অধিকাংশ স্থানে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
রিক্সা চালক পলাশ জানায়, টানা এই বর্ষনে জনজীবন অনেকটাই বিষন্ন হয়ে উঠেছে আর তার সাথে তো চলছে কঠোর লকডাউন। রাস্তায় চলাফেরার কোন কায়দা নেই, খুবই কষ্টে আছি। তরুন ব্যবসায়ী রাকিবুল হাসান আয়রণ বলেন, বর্ষাকালে এমনিতেই কেনাবেচা কম থাকে। বর্ষার কারনে আমার ইট, বালু, সিমেন্ট কোন কিছুই কেনাবেচার কাংক্ষিত সাড়া নেই, অপরদিকে আবার সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউন চলছে, সবমিলিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরা ভালো নেই, আর সর্বাত্বক লকডাউনের কারণে তো গাড়ী বের হতে পারছেনা। বর্ষার কারনে কোন ক্রেতা বাইরে বের হয়নি।
এ্যাড. রেজা বলেন, কোন রকম একটু ভারী বর্ষন হলেই একালার বিভিন্ন ভাঙ্গা রাস্তায় হাটু সমান পানি জমা হয়। ঘটে দূর্ঘটনা। আধুনিক বা নতুন কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনে এই অবস্থা। তার মতো বেশ কয়েককজন পথচারী জানান, বৃষ্টির কারনে অনেকই প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হয়নি। দৌলতপুর বাজারে সৃষ্টি হয়ে স্যাতস্যাতে পরিবেশের যার দরুন ক্রেতা বিক্রেতা এই বৃষ্টির কারন চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
সবজি বিক্রেতা পলাশ শেখ জানান, হঠাৎ এই বৃষ্টির কারনে বাজার প্রায় ক্রেতা শূন্য। বেচাকেনা খুবই কম, তারপর আবার লকডাউন আংতকে অনেকেই ঘর হতে বের হয়নি। টানা এই বৃষ্টির কারণে মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। খুলনা আঞ্চলিক আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, আকাশে বজ্রবৃষ্টি ও গভীর সঞ্চালন মেঘমালার সৃষ্টি হওয়ার এই ভারী বর্ষনের সৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি রাত পর্যন্ত অব্যহত থাকতে পারে।
তিনি আরো জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০মিনিট হতে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সর্বমোট বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪ মিঃ মিঃ।
(ঊষার আলো-এমএনএস)