যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. মির্জা গালিব বলেছেন, আমাদের সমাজে ইসলামের প্রাকটিস আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে আমরা যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম, সেই সময়ের তুলনায় এখনকার সময়ে। আমার অনেক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধবীকে এখন ইসলামের ব্যাপারে আগের চাইতে অনেক বেশি সিরিয়াস দেখি।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেছেন।
ওই পোস্টে মির্জা গালিব আরও বলেন, সামাজিক ক্ষেত্রে একটা জরুরি নিয়ম হলো ব্যক্তিগত ধার্মিকতার সঙ্গে অর্থনৈতিক সততা এবং অন্যের প্রতি ইনসাফকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি মিথ্যা কথা বললে, মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিলে, ঘুস খেলে, অন্যের প্রতি জুলুম করলে ইবাদতের আর কোনো মানে থাকে না।
রাজনীতি ও যেকোনো নির্বাচনে ব্যক্তিগত জীবনের এসব ধর্মীয় মূল্যবোধকে কাজে লাগাতে ড. গালিব দুটি নীতির কথা উল্লেখ করেছেন। নীতিগুলো হলো….
এক. আমরা যে দলকেই সমর্থন করি না কেন, ওই দল যদি ইসলামবিরোধী কোনো রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নেয়, তাহলে তার বিরোধিতা করতে হবে।
দুই. ভোট দেওয়ার সময় সৎ, ধার্মিক লোক দেখে ভোট দিতে হবে। চোর-বাটপার, সন্ত্রাসী টাইপের কাউকে মনোনয়ন দিলে নিজের পছন্দের দলকেও ভোট দেওয়া যাবে না।
তরুণ এই শিক্ষক বলেন, আমরা সবাই মিলে যদি এইরকম কিছু মূলনীতির ব্যাপারে সিরিয়াস থাকি, তাইলে অল্প সময়ের মধ্যেই সমাজে এবং রাজনীতিতে আমাদের ধার্মিকতার একটা প্রভাব পড়বে এবং একটা গুণগত পরিবর্তন ঘটবে।
ঊষার আলো-এসএ