পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছায় লকডাউনের মধ্যে ১ হাজার শ্রমিক দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছে ধান কাটার জন্য। স্থানীয় মেম্বর-চেয়ারম্যানদের প্রত্যয়ন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমোদন নিয়ে এসব ধান কাটা শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়েছে। বোরো মৌসুম আসলেই প্রতিবছর অত্র এলাকা থেকে শত শত শ্রমিক দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান কাটতে যায়। ইতোমধ্যে ধান মৌসুম শুরু হওয়ার মধ্যেই সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় ধান কাটতে যাওয়ার জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়েন এলাকার শ্রমিকরা। দ্বিতীয় দফার লকডাউনে সরকার কড়াকড়ি আরোপ করলেও ধান কাটা শ্রমিকদের যাতায়াতে কোন প্রকার বাঁধা কিংবা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় এ জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে ১ হাজার শ্রমিক গোপালগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ধান কাটার জন্য গিয়েছে। লতার পানারাবাদ গ্রামের শ্রমিক সুধাংশু সরদার জানান, আমরা ২৩ জন শ্রমিক গোপালগঞ্জ জেলায় ধান কাটতে যাচ্ছি। প্রথমে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে, পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, প্রশাসনের অনুমোদন থাকলে লকডাউনের মধ্যে যাতায়াতের পথে কোথাও হয়রানী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এ জন্য যেসব শ্রমিক দূরের জেলায় ধান কাটতে যাচ্ছে তারা সবাই প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের পাশাপাশি বাসের জন্য বাস ও চালকের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সংযুক্তের মাধ্যমে বাসের মালিক অথবা চালকের পক্ষ থেকে অনুমোদনের জন্য আলাদা আবেদন করছে। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখে ধান কাটা শ্রমিক এবং বাসের অনুমোদন প্রদান করা হচ্ছে। অনুমোদন নিয়ে এ পর্যন্ত ১ হাজার শ্রমিক দেশের বিভিন্ন জেলায় ধান কাটতে গিয়েছে। মোট শ্রমিকের অর্ধেক গোপালগঞ্জ জেলায় গিয়েছে। ধান কাটার শ্রমিকরা কোন প্রকার হয়রানী ছাড়াই নির্ধারিত স্থানে যেতে পারে এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে ইউএনও খালিদ হোসেন জানান।
(ঊষার আলো-আরএম)