ঊষার আলো রিপোর্ট : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত স্কুল ছাত্র ছাবিদ হোসেন (১৬) এর পরিবারের দায়ের করা হত্যা মামলা গ্রহণ না করে ফেরত দিয়েছে আদালত।
বাদী পক্ষের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক ও এম এ আরাফাতসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসারসহ আওয়ামী লীগের এবং অঙ্গ সংগঠনের এটা কর্মীসহ ৭৫ জনকে আসামি করে আবেদন করা হয়।
আইনজীবী সাকিল জানান, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমি চৌধুরীর আদালতে মামলাটি সকাল ১১টার দিকে দায়ের করা হয়। আমরা মামলাটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার আদেশ চেয়েছিলাম। আদালত মামলাটির বিষয়ে পরে আদেশ দিবে বলে জানায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলার পিটিশন থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন ও ওসি সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের নাম বাদ দিতে আমাদেরকে বেশ কয়েকবার বলা হয়। কোনো আসামীর নাম কাটা সম্ভব নয় বলে আমরা জানালে আদালত সারাদিন আমাদেরকে অপেক্ষমাণ রেখে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিতে পারবে না। কারণ এখানে সরকারি চাকরিজীবী রয়েছে। এরপর মামলার নথি আমরা ফেরত নিয়ে আসি।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করলো, তারা শুধু সরকারি চাকরি করার কারণে মাফ পেয়ে যাবে? মন্ত্রী, এমপিকে আসামি করা গেলে যিনি গুলি করেছেন তার বিরুদ্ধে কেন মামলা করা যাবে না?
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে উত্তরায় ছাত্রদের সঙ্গে থাকাবস্থায় মাথায় গুলি করে হত্যা করে ছাবিদকে। তারপর পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হসপিটালে শনাক্ত করে।
ছাবিদ টঙ্গী রেনেসাঁ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
ঊষার আলো-এসএ