UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীতে থেকেই দেখা যাবে ‘নরকের দরজা’

usharalodesk
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : আমরা জন্ম থেকেই নরকের কথা শুনে আসছি। কিন্তু সেখানে যেতে চাই না কেউই। কারণ নরকে গিয়ে মানুষ পাপের শাস্তি পায়। কাজে নরকের দরজার ত্রিসীমানায় যাওয়ারও বিন্দুমাত্র বাসনা নেই কারও।

তবে আপনি যদি ভূপর্যটক হন, সম্ভব হলে নরকের দরজায় অবশ্যই একবার যাবেন। আর হলফ করে বলা যায়, নরকের দরজার কাছে গিয়ে আপনি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যাবেন। কিন্তু এ নরকের দরজা, সে নরকের দরজা নয়। এখানে নরকযন্ত্রণা নেই, তবে আছে অপার বিস্ময়।

মূলত তুর্কমেনিস্তানের দরওয়াজা শহরের একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে যা নরকের দরজা নামে পরিচিত। অর্ধ শতাব্দী ধরে অগ্নিমুখটি অনবরত জ্বলছে বলে একে নরকের দরজা বলা হয়ে থাকে।

দেশটির রাজধানী আশগাবাত থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে দারভাজা গ্রাম। খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত দারভাজা এলাকায় ১৯৭১ সালে রাশিয়ার অনুসন্ধানকারীরা আবিষ্কার করেছিলেন এক খনি।

তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ দারওয়াজা এলাকায় অনুসন্ধানের সময় সে ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে।

প্রথমে তারা মনে করেছিল এটি একটি তেল ক্ষেত্র ফলে ড্রিলিং মেশিন দিয়ে তেল উত্তোলনের জন্য সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করবে। তবে পরে তারা সেখান থেকে বিষাক্ত গ্যাস বের হতে দেখে। গ্যাস অনুসন্ধানের সময় অনুসন্ধানকারীরা গ্যাসবহুল গুহার মধ্যে মৃদু স্পর্শ করলেই দুর্ঘটনাক্রমে মাটি ধসে পুরো ড্রিলিং রিগসহ পড়ে যায়। যদিও এ দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

গবেষণা করে প্রাথমিকভাবে বিষাক্ত মিথেন গ্যাসের ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন। পরিবেশে বিষাক্ত গ্যাস প্রতিরোধ করার জন্য ভূতত্ত্ববিদরা তখন গ্যাস বের হওয়ার মুখটি জ্বালিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

তাদের ধারণা ছিল যে এখানে সীমিত পরিমাণ গ্যাস থাকতে পারে। তবে তাদের ধারণা ভুল প্রমাণ করে এটি ১৯৭১ সাল থেকে অনবরত জ্বলেই যাচ্ছে। এই নরকের দরজা নিয়ে অনেক রকম রহস্য ও মিথ আছে।

স্থানীয় লোকেদের অনেকেই একে দৈবশক্তির প্রকাশ বলেও মনে করেন। আসলে এটি একটি এমন সিদ্ধান্ত যা ভুল না ঠিক তা আজও পর্যন্ত নির্ধারণ হয়নি।

(ঊষার আলো-এফএসপি)