কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনায় কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এসএম বাহারুল ইসলাম জামায়াত নেতার স্ত্রীর মামলায় জেল হাজতে থাকায় চলছে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ। প্রতিদিন ইউনিয়নের সহস্রাধিক নারী ও পুরুষ চেয়ারম্যান বাহারুলের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উপজেলা সদরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রবিবার (২৪ জুলাই) এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবী করেছেন। ১৫ জুলাই কয়রা উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ মাওঃ আঃ মালেক কে মাদ্রাসার মধ্যে ডেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওঃ মাসুদুর রহমান ও সহাকারি শিক্ষক মাওঃ হাবিব কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আঃ মালেককে মাদ্রসার কেরানি কামরুল কে দিয়ে লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহারুল ১৮ জুলাই মুঠোফোনে অধ্যক্ষ মাসুদের সাথে কথা বললে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে চেয়ারম্যান সংগঠনের কয়েকজনকে দিয়ে মাওঃ মাসুদ কে ডাকতে পাঠান। এসময় মাওঃ মাসুদ তাদের সাথে কথা কাটাকাটির ও এক পর্যায় দু’ পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটে। এতন মাওঃ মাসুদ চোখে আঘাত পায়। মাওলানা মাসুদকে ইউনিয়ন পরিষদে এনে চেয়ারম্যান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে তার স্ত্রীর কাছে দিয়ে বাড়ি পাঠায়। এ ঘটনার তিনদিন পর মাওঃ মাসুদের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা কয়রা থানায় মামলা করেন।
।। কয়রায় মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি অব্যাহত ।।
উপজেলা আ’লীগ সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা জানান, থানা আ’লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামায়াতের সাবেক থানা সেক্রেটারী ও শিবির নেতা মাওঃ মাসুদকে সহযোগিতা করে এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে।
সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী বলেন, আ্ওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান মাহমুদ জামায়াতকে উৎসাহ দিয়ে দলের দুঃসময়ের ছাত্রলীগ নেতা বাহারুল ও দলকে বিভাজন করতে চাচ্ছে।
জানা গেছে, মাওঃ মাসুদ সাবেক ছাত্র শিবির ও উপজেলা জামাতে ইসলামের সেক্রেটারী এবং তার বিরুদ্ধে বর্তমান ১৩ টি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা চলমান।
এদিকে রবিবার বাহারুলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন থেকে চেয়ারম্যান বাহারুলের দ্রুত মুক্তি না হলে হরতালের মত বড় ধরনের আন্দোলনের ঘোষনা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয় মাওঃ মাসুদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে আমাকে মারা হয়েছে। আমি মালেক সাহেবকে মারতে নির্দেশ দেয়নি।