মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা : অবশেষে উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহিষ্ণ (সিটিসিআরপি) প্রকল্পের আওতায় প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে খুলনার পাইকগাছা পৌরসভা। ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৫ বছরে বরাদ্দকৃত এ অর্থ দিয়ে পৌরসভার অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়ন করতে হবে। মেগা বরাদ্দের এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় পৌরবাসীর মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারী খুলনা জেলার প্রথম পৌরসভা হিসেবে পাইকগাছা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর বর্তমান মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ৩য় শ্রেণির পৌরসভাকে ১ম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। উন্নয়ন এবং সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর পৌরবাসীর কাছে একজন গ্রহণযোগ্য মেয়র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরকার এবং প্রশাসনের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে পৌরসভার উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। এ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ৩ বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। অনেকটাই স্বাভাবিক ভাবেই টানা ৩ বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে পৌরসভার শতভাগ বিদ্যুতায়ন সহ পাইপ লাইনে পানি সরবরাহ এবং ড্রেন ও রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করেছেন মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরসহ পৌর কর্তৃপক্ষ। এবারই প্রথম পৌরসভার উন্নয়নে প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে পৌরসভা। উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহিষ্ণ (সিটিসিআরপি) প্রকল্পের আওতায় কমপক্ষে ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাবে অত্র পৌরসভা। সোমবার ঢাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পাইকগাছা পৌরসভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লালু সরদার। এমন খুশির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় পৌরবাসীর মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর জানান, আমরা সরকার এবং মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। মেগা বরাদ্দ দিয়ে পৌরসভার কাঙ্খিত উন্নয়ন হবে বলে আশা করছি।
মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, ২০২৩ সাল থেকে জুন ২০২৯ সালের মধ্যে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে হবে। মেয়র বলেন, পৌরসভা সৃষ্টি থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীতকরণ সহ সকল অবদান শেখ হাসিনা সরকারের। পৌরসভা সৃষ্টির পর থেকে পৌরসভার অনুকূলে এটিই হচ্ছে সর্ববৃহৎ বরাদ্দ। বরাদ্দের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক দুই সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। বরাদ্দকৃত এ অর্থ দিয়ে পর্যায়ক্রমে রাস্তা-ড্রেন, সাইক্লোন শেল্টার, বাস টার্মিনাল, ব্রিজ, কালভার্ট, সুপার মার্কেট, কমিউনিটি সেন্টার, বস্তী উন্নয়ন, পার্ক উন্নয়ন, গণসৌচাগার নির্মাণ, গরু হাট স্থাপন, স্ট্রীট লাইট ও বোর্ড ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনসহ পৌরসভার বিভিন্ন ধরণের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পৌরবাসী তাদের কাঙ্খিত নাগরিক সেবা পাবে বলে আশা করছি।