সুন্দরবনে পর্যটকের চাপ বাড়ার সাথে সাথে দূষণের মাত্রা বাড়ছে। অধিক সংখ্যক পর্যটকের অবাধ প্রবেশ ও তাদের অসচেতনতার ফলে বেড়ে চলেছে ঝুঁকির মাত্রা। সম্প্রতি গবেষণা সংস্থা এনভায়রনমেন্টাল এন্ড স্যোশাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন মাত্র দুই ঘন্টায় মোংলা থেকে ৮০ কেজি ও সুন্দরবনের করমজল থেকে ১৮ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে। যত্রতত্র একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক দূষণের ফলে সুন্দরবনের পরিবেশ প্রতিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, গাছের শ্বাসমূলে প্লাস্টিক জড়িয়ে থাকছে, মৃত বাঘের পোস্টমর্টেম করে পাকস্থলী থেকে প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন , সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবেশবান্ধব বিকল্পের সহজলভ্যতা এবং পর্যটন পরিকল্পনায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার হ্রাসের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) খুলনায় সুন্দরবনে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দূষণ রোধের জন্য স্টেকহোল্ডারদের কনসালটেশন ওয়ার্কশপে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম, খুবির ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত শুভ এবং ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন টোয়াব সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিড। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিস মালিহা হক। কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন এসডোর রিসার্চ এন্ড ক্যাম্পেইন অ্যাসোসিয়েট নোশিন লায়লা। গবেষণার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অরণ্যক ফাউন্ডেশনে প্রোগ্রাম অফিসার এইচ এম ফাহিম।
ঊআ-বিএস