ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: অর্পনা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মো: আবু বকর সিদ্দিক ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ বিষয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দাখিল করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে আসা তদন্তকারী কর্মকর্তারা সত্যতা পেয়েছেন। অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার সত্বেও তার বিরুদ্ধে কেনো বিভাগীয় মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তথ্যদি মন্ত্রণালয় প্রেরণ করা হবে না। এ বিষয়ে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার জবাব চেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: অর্পনা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনিয়মের বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তা সত্যতা পেয়েছেন। সেই বিষয়ে আমার কাছে একটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চিঠি পেয়েছি। তিনি বলেন, ওই বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জবাব দেয়ার জন্য ৭ কার্যদিবস সময় দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তার চিঠির জবাব দেবেন। এটা এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিষয়। তারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী ঢাকা এর উপ-পরিচালক (শৃঙখলা) ডা: কামরুন নাহার স্বাক্ষরীত যার স্মারক নং ২১৯৪ এর উল্লেখ করা হয়, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তৎকালীন কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মো: আবু বকর সিদ্দিক কর্তৃক বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মে আনিত অভিযোগসমূহ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ৩০৭৬ নং স্মারকমুলে যশোর সিভিল সার্জনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। উক্ত স্মারকের প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন কার্যালয় যশোর-৭৪০০ এর স্মারক নং সি, এস, জে/এস-১/২০২০/৫৭৬২ তারিখ -২৮-১০.২০২০ এর মাধ্যমে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন অত্র অধিদপ্তরে প্রেরণ করেন। তদন্ত প্রতিবেদন আপনার বিরুদ্ধে সিএইচসিপি-কে দিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে এবং ক্যাশিয়ার পদায়ন থাকা সত্বেও অফিস সহকারী দিয়ে ক্যাশিয়ারের কাজ করার, জনস্বাস্থ্য সহকারীকে ক্যাশিয়ার, পরিসংখ্যানবিদ হিসেবে পদায়ন ও একজন স্বাস্থ্য সহকারীকে এমটি ( ইপিআই) এর সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মচারিদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্ব পালনে অনিয়মের অভিযোগসমূহ সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে, যা অসদাচরণের পর্যায় পড়ে। এই অসদাচরণের জন্য সরকারী কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ)ধারা মোতাবেক ‘অসদাচরণ” এর দায়ে কেনো আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তথ্যদি মন্ত্রণালয় প্রেরণ করা হইবে না এ বিষয়ে পত্র প্রেপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিপ্তরের প্রেরণ করার জন্য ওই স্মারকে উল্লেখ করা হয়।
বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: অর্পনা বিশ্বাসের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
(ঊষার আলো-এমএনএস)