UsharAlo logo
সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বানারীপাড়ায় আলতা আশ্রয়ণে নির্মানাধীণ পাকাঘর পরিদর্শনে ইউএনও

koushikkln
এপ্রিল ৪, ২০২২ ১০:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া (বরিশাল) : বরিশালের বানারীপাড়ায় সদর ইউনিয়নের আলতা গ্রামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ন প্রকল্পের পাকা ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন।

৪ এপ্রিল সোমবার দুপুরে পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মহসিন-উল-হাসান উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত মুজিব জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের আলতা গ্রামসহ  উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে মোট ৩৮০টি পরিবারের জন্য রঙিন পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আলতা গ্রামে ইত্যোমধ্যে ৬৯টি রঙিন পাকা ঘর নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সুখের পল্লীতে সুখে আছেন ৬৯টি পরিবারের দু’শতাধিক শিশু ও বৃদ্ধসহ নারী-পুরুষ। জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গৃহহীন-ভূমিহীনরা স্বপ্নের এ পাকা ঘর পেয়েছেন। এতে করে এই অসহায় মানুষগুলোর জীবনমান বদলে গেছে। এই মানুষগুলোর একসময় ছিলোনা নিজস্ব কোন স্থায়ী ঠিকানা। অনেকেই নদী ভাঙনের শিকার।  খাস জমি কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে আবার কেউ স্বল্প টাকার ভাড়া বাসায় থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ উপহারের বাসস্থানসহ নানাবিধ সুবিধার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে তাদের জীবনমান। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের এই ঘর অনাবিল হাসি ফুটিয়েছে তাদের মুখে। নিজের একটি পাকা-পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকার আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের মনোরম পরিবেশে  নিরাপদ ও মজবুত স্থায়ী ঘর পেয়ে।

সরেজমিনে এসব ঘরে বাস করা মানুষদের দেখা যায়, মানবেতর জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাবন করছেন। এখানে নতুন করে আরও ২৪টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা বলেন, ‘দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা’- মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বানারীপাড়া উপজেলা প্রশাসন। বানারীপাড়ায় পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল ভূমি ও গৃহহীন  সবাইকে ঘর দেওয়া হবে। আশ্রয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সব ধরনের সহায়তা  ও পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।