ঊষার আলো ডেস্ক : ইউরেশিয়া অঞ্চলের বিবর, যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার লাল নেকড়ে, কালো ভল্লুক ও মঙ্গোলিয়ান ঘোড়া-বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের এসব বন্য প্রাণীর মধ্যে এক জায়গায় মিল রয়েছে। এ প্রতিটি প্রাণী একসময় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বা বিলুপ্তির পথে ছিল। তবে তারা আবারও প্রকৃতিতে ফিরে এসেছে। এটির পেছনে বড় কৃতিত্ব প্রকৃতিবিদ এবং বিজ্ঞানীদের ও ক্যাপটিভ ব্রিডিং কিংবা পুনঃপ্রজনন প্রক্রিয়ার।
একটি গবেষণা জানা যায় প্রতিবেদনে বিলুপ্ত হওয়া বা বিপন্ন প্রাণী ফিরিয়ে আনার অথবা বাঁচানোর অন্যতম কার্যকর উপায় হিসেবে পুনঃপ্রজনন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা না গেলে মঙ্গোলিয়ান ঘোড়া বা গুয়াম রেইলের মতো ঝুঁকির মুখে থাকা প্রাণীদের টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন হয়ে যেত।
গবেষণাটিতে আরও দেখা যায়, ১৯৯৩ থেকে ২০২০-এই ২৮ বছরে পুনঃপ্রজনন প্রক্রিয়ায় ৪৮টির বেশি প্রজাতির পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী বিলুপ্তির হাত হতে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বন্য প্রাণীদের ফিরিয়ে আনতে বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ট্রান্সলোকেশন এবং পুনঃপ্রজনন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। এসকল উদ্যোগ শুধু বিলুপ্ত প্রজাতিকেই ফিরিয়ে আনছে না সাথে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থানের ব্যবস্থাকে সারিয়ে তুলতে এবং ফিরিয়ে আনা প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
(ঊষার আলো-এফএসপি)