UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ, যুদ্ধই কেন নেতানিয়াহুর একমাত্র অপশন?

usharalodesk
অক্টোবর ২৮, ২০২৪ ৩:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। একজন অতি-ডানপন্থী ইহুদি এবং দীর্ঘ সময় ইসরাইল শাসন করা লিকুদ পার্টির নেতা হওয়ায় এক সময় বেশ জনপ্রিয়তা ছিল নেতানিয়াহুর। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে তার জনপ্রিয়তায় ধস নামে। বিশেষ করে, দ্বিতীয় মেয়াদে তার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী শাসন ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। ফলে নির্বাচনে ক্ষমতা হারান নেতানিয়াহু।

কিন্তু পরবর্তীতে ফিলিস্তিন-বিরোধী অতি-ডানপন্থী দলগুলোকে নিয়ে জোট করে আবারও ক্ষমতায় আসেন তিনি। তবে তৃতীয় দফায় ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই তার সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। সর্বশেষ গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি তীব্র হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতায় থাকতেই নেতানিয়াহু যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন।

হামাসের সাথে ইসরাইলের যুদ্ধ ইতোমধ্যে বছর পেরিয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত সব জিম্মিকে মুক্ত করতে পারেনি ইসরাইলি বাহিনী। ফলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছেন সাধারণ ইসরাইলিরা।

নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরাইলিরা যখন বিক্ষোভ করছেন, তখন হামাসের হাতে জিম্মি থাকাদের পরিবারের সদস্যরা গেল জানুয়ারিতে ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে হামলা চালায়। হামলাকারীরা জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসের সাথে চুক্তি করার দাবি জানান।

ইসরাইলের রাজনীতি এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে কাজ করা গবেষক ডভ ওয়াক্সম্যানের একটি কথোপকথন ইসরাইলি জনসাধারণের ক্ষোভের বিষয়টি আরও স্পষ্ট করেছে। ডভ ওয়াক্সম্যান-সহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বলছেন, নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধ শেষ করতে চান না।

বিভিন্ন গবেষণা বলছে, যুদ্ধের বিষয়ে ইসরাইলিদের জনমত ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। যুদ্ধের প্রথম তিন মাস বা তারও বেশি সময় ধরে ইসরাইলিরা, বিশেষ করে ইহুদি ইসরাইলিরা যুদ্ধকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছিল। কারণ নেতানিয়াহু সরকার যুদ্ধের লক্ষ্য হিসেবে হামাসকে পরাজিত ও নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছিল। সেই জনমত ও ঐক্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।

নেতানিয়াহু বলেছেন, জিম্মিদের মুক্ত করার সর্বোত্তম উপায় হলো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া। তবে জিম্মিদের পরিবারসহ হাজার হাজার ইসরাইলির যুক্তি, একদিন একদিন করে যুদ্ধ যত বেশি সময় নিচ্ছে, জিম্মিদের জীবন ততই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

ইসরাইল সত্যিই হামাসকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত ও নিশ্চিহ্ন করতে পারবে কিনা- তা নিয়েও সন্দেহ দিনকে দিন বাড়ছে। অবশ্য সম্প্রতি পর পর প্রতিরোধ সংগঠনটির প্রধান দুই নেতা ইসমাইল হানিয়া ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার, সেইসঙ্গে লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার মাধ্যমে নেতানিয়াহু তার দিকে পরিস্থিতি আপাতত ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু যেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা; সেখানে অসম যুদ্ধের এক বছর পেরিয়ে গেছে এবং হামাস এখনও টিকে আছে- অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। তাছাড়া এতকিছুর পরও সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের ইঙ্গিত এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি নেতানিয়াহু সরকার। উল্টো ইসরাইলকে পাশ কাটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যখন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নতুন মেরুকরণ লক্ষ করা যাচ্ছে; তখন পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে স্থির হয়- তা এখনও নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি। তাছাড়া হামাস ও হিজবুল্লাহর বড় ধরনের ক্ষতি করার পরও যুদ্ধ কিন্তু থামাচ্ছেন না নেতানিয়াহু।

স্বাভাবিক কারণে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, কেন নেতানিয়াহু যুদ্ধ শেষ করতে চান না?

এশিয়া টাইমসের এক নিবন্ধে বলা হয়, নেতানিয়াহু ইসরাইলে ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় ব্যক্তি। ৭ অক্টোবর (২০২৩ সাল) হামাসের সেই নজিরবিহীন হামলার জন্য অসংখ্য ইসরাইলি নেতানিয়াহু সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে। যার মধ্যে নেতানিয়াহুর ডানপন্থী অনেক সমর্থকও রয়েছে।

সুতরাং অভ্যন্তরীণ সমর্থন পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর একমাত্র অবলম্বন হলো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং হামাসের বিরুদ্ধে ‘পূর্ণ বিজয়’ লাভ করা, যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন জনগণকে। আর নেতানিয়াহু যদি জিম্মিদের মুক্তিসহ যুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ বিজয় লাভে ব্যর্থ হন, তাহলে তার লিকুদ পার্টির আগামী নির্বাচনে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তিনিও ক্ষমতা থেকে ছিটকে যাবেন।

এই রাজনৈতিক চাপের মধ্যে নেতানিয়াহু যদি তার জোট সরকারকে অক্ষুণ্ন রাখতে এবং একটি নির্বাচন এড়াতে চান, তাহলে তাকে তার সরকারে থাকা অতি-ডানপন্থী এবং অতি-অর্থোডক্স দলগুলোকে তুষ্ট করতে হবে। অর্থাৎ আল্ট্রা-অর্থোডক্স দলগুলোর জন্য সরকারি ভর্তুকি এবং কল্যাণ ফান্ড নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তারা এর ওপর নির্ভর করে। সেইসঙ্গে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীতে যাতে তাদের কাজ করতে না হয়- সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ইসরাইলে বজায় রাখতে হবে ধর্মীয় স্থিতি।

অপরদিকে, অতি-ডানপন্থী দলগুলোকে তুষ্ট করতে হলে নেতানিয়াহুকে পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের সমর্থন করার পাশাপাশি সেখানে বসতি স্থাপন যাতে সম্প্রসারণ করা যায় সে উদ্যোগ নিতে হবে। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যাতে শক্তিশালী হতে না পারে সেটাও ঠেকাতে হবে। কারণ অতি-ডানপন্থীরা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রভাবমুক্ত থাকতে চায়।

এছাড়া অতি-ডানপন্থী মিত্রদের সরকারে রাখতে হলে নেতানিয়াহুকে যুদ্ধোত্তর গাজা নিয়েও ভাবতে হবে। অর্থাৎ এমন যেকোনো পরিকল্পনাকে ঠেকাতে হবে, যাতে যুদ্ধপরবর্তী গাজার ওপর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ চলে না যায়। যুদ্ধোত্তর গাজা প্রশ্নে নেতানিয়াহুর যেকোনো আলোচনা বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচিত হবে, কারণ ইসরাইলকে গাজায় ইহুদি বসতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছে অতি-ডানপন্থীরা।

অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গাজায় ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতির বিরোধী। সেইসঙ্গে হামাসের পরিবর্তে শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে এই অঞ্চলের তত্ত্বাবধানে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি সংস্কারকে পুনরুজ্জীবিত করতে চায় ওয়াশিংটন।

উভয় সংকটের মতো এই বিরোধপূর্ণ চাপ এড়াতে নেতানিয়াহুর উপায় হলো-গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনব্যবস্থা নিয়ে যতটা সম্ভব আলোচনা এড়িয়ে যাওয়া। নেতানিয়াহু অবশ্য এ পর্যন্ত সেটাই করেছেন। তিনি শুধু বলেছেন, গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের অধিকার অবশ্যই ইসরাইলের হাতে অর্পণ করতে হবে। কিন্তু আসলে বাস্তবে কী ঘটতে যাচ্ছে- তা এখনও সম্পূর্ণ অস্পষ্ট, বিশেষ করে যখন সৌদি আরব ও ইরানের নেতৃত্বে ইসরাইলকে ছাড়াই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নতুন মেরুকরণের খবর দিয়েছে খোদ মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

বেশিরভাগ ইসরাইলি ইহুদি অবশ্য জিম্মিদের ভাগ্য এবং ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হতাহতের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। এমনকি ইসরাইলি মিডিয়াগুলোর কাভারেজেও এই দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিতে দেখা যাচ্ছে।

জিম্মিদের পরিবারগুলো জানিয়েছে, তাদের দুঃখ-দুর্দশা ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তাছাড়া ইতোমধ্যে মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা বন্দিদশায় তাদের যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার যে বর্ণনা দিয়েছে, সেটি গাজায় থাকা জিম্মিদের ব্যাপারে জনসাধারণের মনোযোগ আকষর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে।

তাছাড়া গাজায় ইসরাইলি সেনাদের মৃত্যুর বিষয়টিও সাধারণ ইসরাইলিদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। গত ২৩ জানুয়ারি গাজায় একসঙ্গে ২৪ জন সৈন্য নিহত হয়েছিল। যা ছিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর দিন ছিল। এর বাইরে ইসরাইলি সেনাবাহিনীই তাদের সেনাদের হতাহতের কথা কম-বেশি স্বীকার করে আসছে, যদিও সেটা প্রকৃত হিসাবের অনেক কম হবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। কারণ ইসরাইল সাধারণত তাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করে না। বেশিরভাগ ইসরাইলি ইহুদি সামরিক বাহিনীতে কাজ করে এবং অধিকাংশের পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুরা বর্তমানে কাজ করছে সামরিক বাহিনীতে। অর্থাৎ ইসরাইলি ইহুদিদের সাথে তাদের সামরিক বাহিনীর যোগসূত্র অত্যন্ত গভীরে। স্বাভাবিক কারণেই বড় ধরনের সামরিক ক্ষতি ইসরাইলি সমাজকে খুবই শক্তভাবে নাড়া দেয়।

অতি সম্প্রতি খোদ ইসরাইলি ও পশ্চিমা মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে যে, গাজা থেকে ফেরত যাওয়া ইসরাইলি সেনাদের অনেকে আত্মহত্যা করছে, অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। সাক্ষাৎকারে কেউ কেউ বলেছেন, তারা গাজায় যা দেখেছেন তা অন্য কেউ দেখেনি কিংবা তা প্রকাশ করার মতো না। এ ধরনের ঘটনাগুলো কর্মরত ইসরাইলি সেনাদের পরিবারে আতঙ্ক তৈরি করেছে।

বিপরীতে গাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের বিষয়ে মনোযোগ নেই বেশিরভাগ ইসরাইলির। গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাথে কী ঘটছে; অনেক সাধারণ ইসরাইলি সেটা জানেও না। কারণ ইসরাইলি মিডিয়াগুলোতে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার বিষয়টি খুব একটা কভারেজ পায় না।

এখন কথা হলো- জিম্মিদের পরিবারগুলো কিংবা সাধারণ ইসরাইলিরা সরকারের বিরুদ্ধে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে সরকারের অক্ষমতার বিরুদ্ধে যে কথা বলছে; সেটা নেতানিয়াহুর ওপর কী ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে? এ প্রসঙ্গে ইসরাইল বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটির একটি বড় প্রভাব রয়েছে। কারণ এই পরিবারগুলো যা বলছে- তার প্রতি সাধারণ ইসরাইলিদের ব্যাপক সহানুভূতি রয়েছে। তাছাড়া ইসরাইলের একটি শক্তিশালী নীতি রয়েছে যে, রাষ্ট্রের কোনো সেনা বা নাগরিক সংকটে পড়লে তাকে উদ্ধার করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।

ইসরাইলের অনেক মানুষ মনে করে, ৭ অক্টোবর নাগরিকদের রক্ষায় রাষ্ট্র মৌলিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে; কারণ ইসরাইল রাষ্ট্র ওই দিন সংঘটিত গণহত্যা (হামাসের অভিযানে ১২০০ লোক নিহতের দাবি করা হয়) ও অপহরণ (হামাস যোদ্ধারা আড়াই শতাধিক ইসরাইলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় বলে দাবি করা হয়) প্রতিরোধ বা বন্ধ করতে পারেনি। তাই জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনা এখন বিশেষভাবে সরকারেরই দায়িত্ব। ইসরাইল যদি হামাসকে পরাজিতও করে; কিন্তু জিম্মিদের মুক্ত করতে না পারলে তা ইসরাইলি সমাজে একটি স্থায়ী ক্ষত হিসেবে রয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ইসরাইলি রাষ্ট্র ও তার নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্ক একবারে ভেঙে না পড়লেও একটি দূরত্ব বা আস্থাহীনতার জন্ম দেবে।

এখন প্রশ্ন হলো- ইসরাইলি সামরিক বাহিনী কি জিম্মিদের মুক্ত করতে পারবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাটির নিচে তৈরি করা শত শত মাইল লম্বা সুড়ঙ্গে জিম্মিদের রাখা হয়েছে। সম্ভবত প্রায়শই তাদের অবস্থান পরিবর্তন করা হয়। তাই তাদের শনাক্ত করাও অসম্ভব। এমনকি যদি তাদের অবস্থান শনাক্ত করাও যায়, কিন্তু অপহরণকারীদের হাত থেকে তাদের জীবিত উদ্ধার করা খুবই কঠিন, একেবারেই অসম্ভব।

এ অবস্থায় জিম্মিদের মুক্ত করার একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হলো হামাসের সাথে আরেকটি চুক্তি করা। কিন্তু আরেকটি চুক্তির জন্য হামাস যুদ্ধের অবসানসহ যেসব শর্ত দিয়েছে তা নেতানিয়াহুর জন্য মেনে নেওয়া খুবই কঠিন হবে। যদিও নেতানিয়াহু ও তার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর যুক্তি হলো- হামাস যত বেশি সামরিক চাপের মধ্যে থাকবে, তত বেশি সহজ শর্তে তাদের একটি চুক্তিতে রাজি করার সম্ভাবনা বাড়বে।

তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গাজা বা ফিলিস্তিন কিংবা নেতানিয়াহুর ভবিষ্যত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়; সেটা স্পষ্ট হতে মনে হয় আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ঊষার আলো-এসএ