ঊষার আলো রিপোর্ট : দেশের তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর কারখানাগুলোয় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা হয়েছে। মালিকের কারখানা উন্নত হয়েছে, মালিক সমৃদ্ধ হয়েছেন। দুই শতাধিক সবুজ কারখানা গড়ে উঠেছে। কিন্তু এসব পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের উন্নতি হয়নি। বরং তাদের নানা সুযোগ-সুবিধা কমানো হয়েছে। এর কারণে শ্রমিকের সংখ্যাও কমেছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার ‘নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরির অর্জন ও চ্যালেঞ্জ : রানা প্লাজা-পরবর্তী উদ্যোগ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এ কথা বলেন বক্তারা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে খাতসংশ্লিষ্ট গবেষক, শ্রমিকনেতা, আইএলও এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বক্তৃতা করেন।
আলোচনায় শ্রমিকনেতা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বিলস-এর মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর নানা চাপের কারণে দেশে ট্রেড ইউনিয়ন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক ও শ্রমিকনেতাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে। শহিদ শ্রমিকদের রক্তের বিনিময়ে শিল্পে ইতিবাচক দিক ও ইমেজ ফিরে পেয়েছে। কিন্তু সেই ট্র্যাজেডির আহত-নিহত শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্যতা ফিরে পাননি।
তিনি বলেন, অ্যাকোর্ড-অ্যালায়েন্সের কারণে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত পোশাক কারখানায় শিশুশ্রম নেই। তবে এর বাইরে যেসব কারখানা রয়েছে, সেগুলোয় শিশুশ্রমের অভাব নেই। এর দায়ভার কেউ নিতে চায় না। রানা প্লাজায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া আহত শ্রমিকরা দীর্ঘ ১১ বছর হুইলচেয়ারে বসে চলাফেরা করছেন। তাদের দীর্ঘশ্বাস শেষ হয়নি। তাদের দীর্ঘশ্বাস বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে।
বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান আহমেদের পরিচালানায় আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ লেবার কংগ্রেসের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার, শ্রমিকনেতা আব্দুল হাই, শহিদুল্লাহ বাদল, সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের অধ্যাপক ডা. একেএম রেজাউল, শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক রোখসানা চৌধুরী, সংগঠনের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সমন্বয়ক মইনুল আহসান জুয়েল, শ্রমকি লীগের সভাপতি নুর কুতুবুল আলম মান্নান।
ঊষার আলো-এসএ