ঊষার আলো প্রতিবেদক : ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন খুলনা নগরীর সংলগ্ন মোস্তর মোড় থেকে রায়েরমহল স্লুইস গেট পর্যন্ত জলিল স্মরণী সড়কের শেষ অংশ আনুমানিক মাত্র আধা কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গত এক মাস ধরে সড়কটি এমনই পর্যায়ে পৌছেছে ওই সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। চলতি বর্ষায় সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে তাতে স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সড়কে যান চলাচল করায় ছেঅট বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে ।
সড়কটি ক্ষতির পেছনে দায়ী বালুবাহী ট্রাক ও জমি ব্যবসায়ীরা
পিংকি ফিসের স্বত্ত্বাধিকারী শেখ মারুফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে প্রায় দেড়শত ট্রাক নগরীতে প্রবেশ করে। তারা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। গত তিন বছর ধরে সড়কটি এই করুণ অবস্থা। একই কথা বললেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ইসলাম মোল্লা। তিনি বলেন, গত দু’দিন আগে পাথর ভর্তি একটি ট্রাকের চাকা সড়কের গর্তে দেবে গেছে। ওই ট্রাক গত দু’দিন ধরে সড়কে পড়ে আছে। কেউ ওঠাতে পারছে না। এতে যান চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে।
ওই এলাকার চা বিক্রেতা আঃ রব বলেন, গত কয়েক দিন আগে ওই সড়কে সাইকেল চালক স্লীপ করে বিপরিত দিক থেকে আাস ট্রাকের চাকার নীচে চলে যান। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এভাবে প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে কাভার্ড ভ্যান চালক ওমর ফারুখ জানান। তারা অবিলম্বে এলাকাবাসীকে মরণ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
স্কুল শিক্ষক তাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, স্থানীয়ভাবে সড়কটির নাম বাইপাস সংযোগ সড়ক নামে পরিচিত। এ সড়কটি এতই বেহাল অবস্থা যানবাহন থাক দুরের কথা সাধারণ জনগণ পায়ে হেটে চলাচল করতে পারছে না। এতে করে চরম ভোগান্তি হচ্ছে এলাকাবাসীর। ওই এলাকার জেলে দেবু জানান, সড়কটির কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। বড় বড় গর্তে গাড়ি পরে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। অবিলম্বে এ সড়কটি মেরামতের দাবি জানান তিনি।
ওই এলাকার সমাজসেবক আবুল হাসান গাজী বলেন, সড়কটি মূলত ক্ষতি করেছে বালুবাহী ট্রাক আর জমি ব্যবসায়ীরা। এ লোকগুলো এলাকার বাসিন্দা নয়। তারা এখানে প্লট ব্যবসা করে। এদের কারণে সড়কটি আজ চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে করে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অবিলম্বে সড়কটি মেরামতের দাবি জানান এই নেতা।
এলজিইডির ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, সড়কটি নকশা করা হয়। কিন্তু যে নকশা করা হয়েছে তা বর্তমান অবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানো যাবে না। ওই নকশায় সড়ক করলে টেকসই হবে না। এ জন্য নকশা পরিবর্তন করে নতুন করে সড়ক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।