ঊষার আলো ডেস্ক : ইলেকট্রিক বা ব্যাটারি চালিত মটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্তকরণ এবং সংগ্রাম পরিষদ ঘোষিত ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) বেলা ১২টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ খুলনা মহানগর শাখা।
জেলা প্রশাসকের অনুমতিতে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাদিকুর রহমার খান। সংগঠনের খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক এস এম আলমগীর হোসেন বাবুর নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলÑবাসদ খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, সদস্য কোহিনুর আক্তার কনা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা সভাপতি আব্দুল করিম, সংগঠনের মহানগর কমিটির সদস্য হারুনুর রশিদ, আব্দুল হাই প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ব্যাটারি চালিত ৩ চাকার বাহনের উপর বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক ও তাদের পরিবার নির্ভরশীল। দেশেই তৈরি বলে এই বাহন নির্মাণ শিল্পে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ বাহন বায়ু ও শব্দ দূষণ করে না। স্থানীয় কারিগর দিয়ে তৈরি বলে এসব বাহনের কিছু কারিগরি ত্রুটি থাকায় তা অনেকের কাছে বিপদজনক বাহন হিসেবে বিবেচিত হতো। ইতোমধ্যে সেসব ত্রুটি চিহ্নিত করে কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে, ফলে দুর্ঘটনার হার অনেক কমে গেছে। গত ৪ এপ্রিল মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট মহাসড়ক ব্যতীত ব্যাটারি চালিত যান চলায় বাধা নেই বলে মতামত দিয়েছেন। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে এসব বাহন আধুকায়নের দাবি করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিলে ৫০ লাখ মানুষের নিরাপদ কর্মসংস্থান ও কোটি কোটি যাত্রীর উপকার হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন জায়গায় ব্যাটারি চালিত যানবাহনের চালক-মালিকদের জিম্মি করে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায়, পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গাড়ী আটক ও ব্যাটারি ভাংচুর করা হচ্ছে। আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এর সুষ্ঠু প্রতিকার প্রত্যাশা করি। একই সাথে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, আধুনিকায়ন এবং নীতিমালা চূড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ আশা করি। আমরা মনে করি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিবন্ধন, রুট পারমিট ও লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা চালু হলে সড়কে শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে, অর্থনীতিতে গতি আসবে, দুর্নীতির পথ বন্ধ হবে। স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ ৬ দফা দাবি উল্লেখ করে তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান।