UsharAlo logo
সোমবার, ৯ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি

ঊষার আলো
জুন ১৯, ২০২৩ ৪:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : ভূমির দলিল নিবন্ধন সেবায় সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোনো জমি কেনার পর তার দলিল নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু সরকারের বাধ্যতামূলক এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে গিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় নিবন্ধনের জন্য আসা মানুষদের। বিষয়টি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা একাধিকবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) এর আগে সরকারি ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে দুর্নীতির নানা উৎস চিহ্নিত করেছে। কিন্তু এরপরও অনিয়ম-দুর্নীতির রাশ টানা সম্ভব হয়নি। যুগান্তরের প্রতিবেদনে রোববার উঠে এসেছে, জমি রেজিস্ট্রেশনে দুই ধরনের জাল-জালিয়াতি অনেকটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। প্রথমত, খতিয়ান টেম্পারিং করে জমির উচ্চমূল্যের শ্রেণিকে (যেমন : ভিটি শ্রেণির জমিকে নাল দেখিয়ে) নিুমূল্যের শ্রেণি দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, জমির মূল্য কম দেখিয়ে সাফ কবলা দলিল করে পরক্ষণেই তা আবার একই সাবরেজিস্ট্রার ১০ গুণের বেশি মূল্য ধরে ব্যাংকের কাছে মর্টগেজ দলিল করে দিচ্ছেন। এতে লাভবান হচ্ছেন ক্রেতা ও সাবরেজিস্ট্রার। এক্ষেত্রে ক্রেতাকে মোটা অঙ্কের ব্যাংক ড্রাফট দিতে হচ্ছে না। এক কোটি সাশ্রয় হলে সাবরেজিস্ট্রারকে ৩০ লাখ টাকা ঘুস দিতেও দলিল গ্রহীতার কোনো ওজর-আপত্তি থাকছে না। আর এভাবেই রেজিস্ট্রিশন সেক্টরে ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতি চলছে। সূত্র বলছে, ব্যাংক ও ঋণগ্রহীতার সঙ্গে যোগসাজশে যুক্ত হয়ে একশ্রেণির দুর্নীতিপরায়ণ সাবরেজিস্ট্রার এ কাজ করছেন। যে কারণে একদিকে যেমন সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, অপরদিকে এ পেশার ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।