বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে প্রস্তুতিসভা
ঊষার আলো ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার প্রধানের অনৈতিক, অবৈধ ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যই প্রমান করে সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির
আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, আজকে জাতি অত্যান্ত সঙ্কটময় একটি সময়
অতিক্রম করছে। গণতন্ত্রের মাতা, যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন সংগ্রাম করেছেন। আমাদের সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তার মুক্তির সংগ্রাম করছি, দীর্ঘদিন ধরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার কথা বলছি। এ সরকার নির্বাচিত নয়, তাই তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তারা মনে করে, তাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বেগম খালেদা জিয়া। এ কারণেই তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, খুলনায় বিএনপির গনতান্ত্রিক শান্তিপুর্ন কর্মসুচিতে ফ্যাসিবাদী শাসক গোষ্ঠীর লাগাতার হামলা নির্যাতন চালাচ্ছে। পুলিশের উপস্থিতিতে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডাররা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। শাসক দলীয় ক্যাডাররা বিএনপি অফিস ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা, হুমকি প্রদান ও মহড়া প্রদর্শন করছে। নগরীর দৌলতপুর, খালিশপুর ও জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় হামলা নির্যাতনের ভয়াবহ রূপ প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। অবৈধ সরকারকে আর
ক্ষমতায় রাখা যাবে না। জনগনকে সাথে নিয়ে টেনে হিচড়ে গদি থেকে নামানো হবে।
তিনি আরো বলেন, ০১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কীতে খুলনার রাজপথ দখলে রেখে হামলা, মামলা, নির্যাতনের ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানাবে বিএনপি। স্মরণকালের বৃহত্তম গণজমায়েত সৃষ্টি করে রাজপথে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হবে নগরীতে। বিএনপি এবং সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৫ হাজার নেতাকর্মীর জমায়েতের লক্ষ্যে প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, তারিকুল ইসলাম জহীর, আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, মাহবুব হাাসন পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, খান জুলফিকার আলী জুলু, সাইফুর রহমান মিন্টু, এস এ রহমান বাবুল, মো. রাকিব মল্লিক, মোস্তফাউল বারী লাভলু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, শামীম কবির, আশরাফুল আলম খান নান্নু, শামসুল আলম পিন্টু, এনামুল হক সজল, আ. রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, বেগ তানভিরুল আজম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুর্শিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াম খান তুহিন, কেএম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, জহর মীর, শেখ ইমাম হোসেন, আহসান উল্লাহ বুলবুল, এড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, শরিফুল আনাম, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, গাজী আফসার উদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহম্মেদ, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুর রহমান শফি, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, খায়রুল ইষলাম খান জনি, শেখ আজগর আলী, মনিরুজ্জামান লেলিন, মর্শিদুর রহমান লিটন, নাজমুস সাকিব পিন্টু, আরিফ রহমান, খন্দার ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, মল্লিক আব্দুস সালাম, নুরুল আমিন, শামসুল বারি পান্না, এনামুল হক, আসলাম পারভেজ, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, ইঞ্জ. নুরুল ইসলাম বাচ্চু, আখতারুজ্জামান সজীব তালুকদার, ইবাদুল হক রুবায়েত, আতাউর রহমান রুনু, খান ইসমাইল হোসেন, ইশতিয়াক হোসেন ইশতি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, তাজিম বিশ্বাস, গোলাম মোস্তফা তুহিন, আনোয়ার হোসেন আনো, আদনান ইসলাম দিপ, জাকির ইকবাল বাপ্পি, মুনতাসির আল মামুন, কাওসারী জাহান মঞ্জু, আরিফা চুমকি, সাজ্জাদ হোসেন জিতু প্রমূখ।
রাজপথ দখলে রেখে হামলা, মামলা, নির্যাতনের
প্রতিবাদ জানাবে খুলনা বিএনপি
০১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৪৪তম
প্রতিষ্ঠা বার্ষির্কী। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিকেল সাড়ে ৩টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত এবং
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নগরীতে র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা মহানগর ও জেলা
বিএনপি যৌথভাবে এসকল কর্মসূচি পালন করবে।
দিবসটিতে খুলনার রাজপথ দখলে রেখে হামলা, মামলা, নির্যাতনের ঘটনার জোরালো
প্রতিবাদ জানাবে বিএনপি। স্মরণকালের বৃহত্তম গণজমায়েত সৃষ্টি করে রাজপথে
প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হবে নগরীতে। বিএনপি এবং সকল অঙ্গ সহযোগী
সংগঠনের অন্তত ১৫ হাজার নেতাকর্মীর জমায়েতের লক্ষ্যে প্রস্ততি গ্রহণ করা
হয়েছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হবে না। তার পরিবর্তে সারা দেশে শাসক দলীয়
ক্যাডারদের হামলা ও পেটোয়া পুলিশের গুলিতে নিহত ও আহতদের ছবি সম্বলিত
ব্যানার ফেস্টুন ও প্লাকার্ড নিয়ে মিছিল হবে রাজপথে। সেখানে স্থান পাবে
আহত রক্তাক্ত নেতাকর্মীদের ছবি। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগকৃত দলীয় কার্যালয়ের
চিত্র। মিছিলের শ্লোগানে স্থান পাবে ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের দাবি।
হামলাকারী অপশক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি।