UsharAlo logo
শুক্রবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের সভা

usharalodesk
মার্চ ২২, ২০২১ ১০:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : গোলপাতা সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার এক অতি পরিচিত ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদ। গোলফল খেতে সুস্বাদু একথা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু গোলপাতার রস হতে গুড় তৈরি যে বিকল্প আয়ের উৎস হতে পারে, সে কথা সুন্দরবন নির্ভর জনগোষ্ঠী জানেন না বললেই চলে। অথচ গত দু’শো বছর ধরে পটুয়াখালী জেলার দুইটি গ্রামের মানুষের জন্য গোলপাতার গুড়ই আয়ের প্রধান উৎস। টেকসই পদ্ধতিতে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে জীবীকা উন্নয়নের পাশাপাশি সুন্দরবন সংরক্ষণ সম্ভব, তা অধিকাংশ বনজীবীরাই জানেন না। মূলতঃ এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) ও জাপান এনভায়রনমেন্টাল এডুকেশান ফোরাম (জীফ) যৌথ উদ্যোগে জাপান সরকারের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক তৃণমূল প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতায় ‘সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’ নামক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় মাৎস্য, কৃষি, বনজ ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন ক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২৬৫ জন সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হয় এবং ঐ সকল সুবিধাভোগীদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে সুন্দরবন পেশাজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। এই পকল্পের কার্যক্রম হিসাবে নন টিম্বার ফরেস্ট প্রোডাক্ট তৈরিতে ৪০ জন উপকূলীয় গ্রামবাসীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে ৫ জনকে গোলপাতার গুড় তৈরির প্রক্রিয়া দেখাতে গোলপাতার গুড় তৈরিতে বিখ্যাত পটুয়াখালীর ২টি গ্রাম পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা গ্রাম দুটি ঘুরে গোলপাতার গুড় তৈরির কৌশল শেখেন। পরবর্তীতে রবিবার (২১ মার্চ) পরিদর্শনে যাওয়া ঐ সকল সুবিধাভোগীরা বাকি ৩৫ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং কিভাবে গোলপাতার গুড় মানুষকে বিকল্প জীবীকার সুযোগ প্রদান করেছে তা বর্ণনা করেন। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এই কার্যক্রমটি অনুষ্ঠিত হয় খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বাণিশান্তা ইউনিয়নের উত্তর বাণিশান্তা গ্রামে নির্মিত সুন্দরবন পেশাজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ভবনে। উক্ত কার্যক্রমে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেডস্ এর প্রধান নির্বাহী মাকছুদুর রহমান, পাবলিক রিলেশান অফিসার কপিল বিশ্বাস, রিসার্স অফিসার মো. নাহিদ হাসান, ফিল্ড এডভাইজার রজত শুভ্র গাইন, প্রোগাম অফিসার এম.এ খালেক ও মাঠকর্মী প্রশান্ত দেব।

(ঊষার আলো-এমএনএস)