ঊষার আলো রিপোর্ট : অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা অলস পড়ে রয়েছে। এই অর্থে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও বাজার উন্নয়নে একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
দেশের পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক ধস সামাল দিতে বিভিন্ন সময় ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনকে সরকারি তহবিল জোগান দিতে হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও নীতি সহায়তায় চেষ্টা করছে পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সম্প্রসারণে। তাদের এসব প্রচেষ্টা কতটা কার্যকর হতে চলছে তা এখনও প্রশ্নের মুখে।
এ অবস্থায় খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কাছে অবণ্টিত নগদ ও বোনাস শেয়ার হিসেবে থাকা লভ্যাংশ নিয়ে বড় অঙ্কের একটি তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই তহবিলের অর্থ বণ্টনযোগ্য করে ব্যবহার করতে কীভাবে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সেসব বিষয় সামনে রেখে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ তহবিল পুঁজিবাজার উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
তারা জানান, অনেকে মারা গেছেন আবার অনেকে জানেই না যে সে লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ট পেয়েছে, সেই টাকাগুলো কোম্পানির কাছে অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এই উদ্যোগ যদি সফল হয় তাহলে অনেকেই উপকৃত হবে।
এ উদ্যোগের বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে ডিবিএর সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেছেন, বিএসইসিকে সার্বিক বিষয় গভীরভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের অনিয়মরোধ করে লভ্যাংশ আদায়ে সতর্ক থাকতে হবে সংস্থাটিকে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, কোনো বিনিয়োগকারীই এই তহবিলের চিরস্থায়ী মালিক না। কেউ তার পাওনা দাবি করলে যাচাই-বাছাই শেষে তাকে তাৎক্ষণিক অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে।
পুঁজিবাজার উন্নয়নে গঠিত এ তহবিল পরিচালনায় বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল এবং সেন্টাল কাউন্টার পার্টি সিসিবিএলের প্রতিনিধি থাকবে বলে জানা যায়।
(ঊষার আলো-এম.এইচ)