ঊষার আলো ডেস্ক : বাবা-মায়ের সাথে ঝগড়া হওয়ায়। ১৪ বছর বয়সি আন্দ্রেস কান্তো সিদ্ধান্ত নিলেন তাদের সাথে আর থাকবেন না। কিন্তু বাড়ি ছেড়ে গেলেন না তিনি। বের করলেন ভিন্ন এক পথ।
বাড়ির পেছনে থাকা বাগানে মাটি খোঁড়া শুরু করলেন। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তিনি এই কাজ করেছেন। প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরেই তিনি মাটি খুঁড়তে শুরু করতেন। আর এ ভাবেই কান্তো তৈরি করেছেন পাতালঘর।
কিন্তু মাটির নিচে হলেও আধুনিক সময়ের সব সুযোগ রয়েছে কান্তোর পাতালঘরে। ওয়াইফাই, মিউজিক সিস্টেম, বসার ঘর, বাথরুমসহ রয়েছে ঘর ঠান্ডা হলে গরম করার জন্য হিটিং মেশিনেরও ব্যবস্থা।
শখের এই পাতালঘর বানাতে কান্তোর খরচ হয়েছে ৬০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ হাজার টাকা। ছোটবেলা হতেই কুঁড়ে ঘরে থাকতে পছন্দ করতেন কান্তো। আর সেটি থেকেই পাতালঘরের পরিকল্পা তার মাথায় আসে।
কান্তোর ভাষায়, ‘আমার কুঁড়ে ঘর তৈরি করতে খুব ভালো লাগে, আমি গ্রামে থাকি। যখনই পরিত্যক্ত কোনো জঙ্গল পেতাম আমি সেখানে ঘর তৈরি করতাম।’
যদিও মাঝে মাঝে বৃষ্টি, বন্যা বা পোকা-মাকড়ের উপদ্রব হতো। কিন্তু কান্তো ভয় পান না। তিনি জানান, ‘এগুলো নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। তাদের ঘর ভেঙে ফেলতাম, যার ফলে আমার নতুন ঘরে তারা থাকতে চায়।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যপারটি ভাইরাল হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেখানে পরিদর্শনে যান। কান্তোর পাতালঘর নিয়ম মেনে তৈরি কিনা তা খতিয়ে দেখেন তারা। এমনকি কান্তোর মা-ও ছেলের পাতালঘরটি পছন্দ করেছেন।
(ঊষার আলো-এফএসপি)